বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে লাগাম টানতে হবে। ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বনশূন্য পরিবেশের কথা বলেছে জাতিসংঘ। সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়তো সম্ভব হবে। বিশ্বজুড়ে তাপপ্রবাহ কার্যত মহামারির রূপ নিচ্ছে। বলেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
গেলো বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত এক বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। খবর ডয়েচে ভেলের।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, গত সোমবার ছিল পৃথিবীর উষ্ণতম দিন। তার আগের দিনও ছিল ভয়াবহ গরম। কিন্তু সোমবার তাপমাত্রার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যই এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেছেন গুতেরেস।
তিনি বলেন, বন্যা কিংবা ঝড় দেখতে পাওয়া যায়। তাপপ্রবাহ দেখতে পাওয়া যায় না। কিন্তু এই তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বিপজ্জনক; প্রতি বছর কেড়ে নিচ্ছে প্রাণ। ২০০০ সাল থেকে ২০১৯ এর মধ্যে প্রতি বছর শুধু তাপপ্রবাহের জন্য মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৮৯ হাজার মানুষের। সেখানে প্রতি বছর সাইক্লোনের জন্য মৃত্যু হয়েছে গড়ে ১৬ হাজার মানুষের।
গুতেরেস বলেন, এই ভয়াবহ তাপপ্রবাহ এড়িয়ে চলার জন্য সবার সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ মানুষদের দিকে নজর দেওয়া দরকার। এই তাপপ্রবাহের জন্য খাদ্য সুরক্ষাব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় খরা হচ্ছে, খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
অব্যাহত তাপপ্রবাহের প্রভাব মোকাবিলায় জাতিসংঘের পরামর্শ, বিভিন্ন দেশে তাপপ্রবাহের সতর্কতা বার্তা আরও ভালোভাবে যাতে দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হলে কৃত্রিমভাবে ঠান্ডার ব্যবস্থা করতে হবে। সর্বোপরি, তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য শহরগুলোতে পরিকাঠামোগত বদল আনতে হবে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, পৃথিবীর ৫৭টি দেশে যদি তাপপ্রবাহের সতর্কতা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো যায়, তাহলে বছরে অন্তত ৯৮ হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।
এএম/