আদালতের রায় হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অপেক্ষা না করার সুযোগ নিয়ে দেশে নৈরাজ্য চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা এবং সেই তাণ্ডব মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আলেম-ওলামাদের মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা অসৎ উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ব্যবহার করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, যা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।’
সব নৈরাজ্যকারী ও চক্রান্তকারীর বিচার হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি নাশকতার ঘটনার তদন্ত হবে, আমাদের কাছে ফুটেজও আছে। যারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত, তাদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করা হবে এবং বিচারের আওতায় আনা হবে।’
ড. হাছান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে ছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ধৈর্য না ধরায় দুর্বৃত্তরা এর সুযোগ নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের বলব, তোমরা যাতে কারও প্ররোচনায় না পড়ো, সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে।’
মানববন্ধনে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইনের সভাপতিত্বে পার্টির মহাসচিব মাওলানা শাহাদাত হোসাইন এবং মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী, মুফতি আব্দুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ, লক্ষ্মীপুরের পীর খাজা হারুনুর রশিদ মিরন বক্তব্য দেন।
বক্তব্য শেষে মাওলানা হারুন-রশিদ যুক্তিবাদী মোনাজাত পরিচালনা করেন।
এসি//