সহিংসতার ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তারে কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যদি গ্রেপ্তার বাণিজ্যের প্রমাণ পাওয়া যায় তাকে শুধু প্রত্যাহার নয়, তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম-কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরের নিজ কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
থানায় থানায় গ্রেপ্তার বাণিজ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার বাণিজ্য অনেক পুরোনো একটি শব্দ। ডিএমপি কমিশনার যেদিন থেকে ব্লক রেইডের নির্দেশ দিয়েছেন সেদিন থেকেই গ্রেপ্তার বাণিজ্য শব্দের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।
নিরস্ত্র মানুষকে গুলির বিষয়ে বিপ্লব সরকার বলেন, পুলিশের সদস্য যদি গুলি করে থাকে কোন প্রেক্ষাপটে গুলি করেছে সেগুলো পর্যালোচনা করা হবে। যেসব ঘটনায় মামলা হয়েছে প্রত্যেকটি মামলার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করা হবে। যেন প্রশ্ন না ওঠে যে পুলিশ মামলা নিয়ে পক্ষপাত করছে।
অভিযানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ব্লক রেইডে সাধারণ শিক্ষার্থী ও নিরপরাধ কাউকে ধরার সুযোগ নেই। ব্লক রেইডে ডিএমপির সিনিয়র অফিসারদের মোতায়েন করা হয়েছে এ কারনেই যাতে নিরপরাধ মানুষ গ্রেপ্তার না হয় এবং আইনের কোন ব্যত্যয় না হয়। এরপরেও যদি কোনো ব্যত্যয় হয় সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েক দিনে ঢাকা শহরে যে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও প্রাণহানির ঘটনায় ডিএমপির ৫০টি থানায় ২৬৪টি মামলা রুজু হয়েছে। আরও ৪-৫টি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এসব মামলায় ২৮৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকায় বিভিন্ন থানায় ৫৩টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর ভেতর নিহতদের পরিবার কিছু মামলায় বাদী হয়েছে এবং কিছু মামলায় রাষ্ট্রের পক্ষে পুলিশ বাদী হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজধানীতে কিছু এলাকায় ব্লক রেইড চলবে বলেও তিনি জানান।
আই/এ
