কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ফেসবুক, ইউটিউব এবং টিকটককে সরকারের দেয়া চিঠির যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেয়ার আজই শেষ সময়। চিঠিতে ৩১ জুলাই এসব সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিনিধিদের বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) তলব করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ফেসবুক ও ইউটিউব সরকারের চিঠির কোনো সাড়া দেয়নি। তবে টিকটক চিঠির বিপরীতে মেইল পাঠিয়ে রিপ্লাই (প্রতিউত্তর) দিয়েছে।
এ বিষয়ে বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর ১২টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনের প্রধান সম্মেলন কক্ষে প্রতিমন্ত্রী পলক সাংবাদিক আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং করবেন। সেখানেই ফেসবুক ও ইউটিউবের ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত জানানোর কথা রয়েছে।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কিছু ভিডিও কন্টেন্টের ব্যাপারে গত ২৮ জুলাই ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটককে চিঠি দিয়ে তলব করে সরকার। চিঠিতে তাদের কাছে যৌক্তিক ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আজ সশরীরে বিটিআরসিতে প্রতিনিধিদের হাজির হতেও বলা হয়েছে।
তবে সরকারের দেওয়া চিঠির কোনো জবাব দেয়নি ফেসবুক ও ইউটিউব। কিন্তু চিঠির জবাবে মেইলে রিপ্লাই দিয়েছে আরেকটি প্ল্যাটফর্ম টিকটক। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) এসব তথ্য জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, আমরা আগামীকাল (বুধবার) পর্যন্ত ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটককে একটা টাইম (সময়) দিয়েছিলাম। আমরা আশা করেছিলাম যে তারা লিখিত ব্যাখ্যাটা দেবে। কিন্তু আমরা এখনো তাদের লিখিত বা মৌখিক ব্যাখ্যা পাইনি।
টিকটক রিপ্লাই দিয়েছে জানিয়ে পলক বলেন, টিকটক ই-মেইলে একটা রিপ্লাই (প্রতিউত্তর) দিয়েছে যে তারা এ নিয়ে খুব আন্তরিক। সরকারকে সহযোগিতা করতে চান। তারা ব্যাখ্যাগুলোও দিতে চান। বাকি দুটি অর্থাৎ মেটা ও ইউটিউবের সাড়া পাইনি।
অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিনিধিরা যৌক্তিক ব্যাখ্যা না দেয়া পর্যন্ত এসব প্ল্যাটফর্ম খুলে দেয়া হবে না বলেও গত ২৮ জুলাই জানিয়েছিলেন পলক।
তিনি বলেন, ফেসবুক, টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিনিধিরা যৌক্তিক ব্যাখ্যা না দেয়া পর্যন্ত এসব প্ল্যাটফর্ম খুলে দেয়ার ব্যাপারে বর্তমান সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে সরকার।
কেএস/