চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া এমভি ময়ূর-৭ লঞ্চের কেবিন থেকে প্রেমিক-প্রেমিকার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লঞ্চের কেবিনের দরজা ভেঙে একজনের ঝুলন্ত ও অন্যজনের গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মরদেহ পাওয়া যায়।
শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাটে পৌঁছালে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ভোটাল গ্রামে হাফেজ অলি উল্ল্যাহের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৮) ও তার প্রেমিকা রোজিনা। আনোয়ার রাজবাড়ীর একটি মাদরাসায় চাকরির পাশাপাশি ওই এলাকার মসজিদে ইমামতি করতেন। রোজিনার বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায়।
নৌ-পুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাতে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে এমভি ময়ূর-৭ লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পরে শুক্রবার সকালে ঢাকার সদরঘাটে পৌঁছার পর সকল যাত্রী নামলেও একটি কেবিনে দরজা বন্ধ ছিল এবং ভেতর থেকে কেউ সাড়া দিচ্ছিল না। লঞ্চের লোকজন সদরঘাট থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে তারা এসে কেবিনের দরজা ভেঙে একজন পুরুষ ও নারীর মরদেহ উদ্ধার করেন। লঞ্চে থাকা লোকজনের ভাষ্যমতে তারা প্রেমিক-প্রেমিকা।
নৌ-পুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, লঞ্চ কর্তৃপক্ষ পুলিশকে সংবাদ দেয়। পরে পুলিশ এসে লঞ্চের কেবিনের দরজা ভেঙে আনোয়ারকে ঝুলন্ত ও রোজিনাকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় উদ্ধার করে। তারা চিরকুট লিখে গেছে। তাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। তবে ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এএম/