আইন-বিচার

প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্টে আন্দোলনকারীদের অবস্থান

বায়ান্ন প্রতিবেদন

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাও করেছে শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে হাইকোর্ট চত্বরে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এ আল্টিমেটাম দেন।

দুপুর ১টার মধ্যে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে অন্যথায় তার বাসভবন ঘেরাও করা হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক

আজ সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেয়। 

গণমাধ্যমকে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিরা দুপুর ১টার মধ্যে পদত্যাগ না করলে তার পরিণতি হবে শেখ হাসিনার মতো। আমরা প্রধান বিচারপতিসহ দলবাজ বিচারপতিদের বাসভবন ঘেরাও করে পদত্যাগে বাধ্য করব। দলবাজ বিচারপতিদের সরিয়ে দেয়ার মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিবাদের মূল উৎপাটন করা হবে।’

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এবার হাইকোট ঘেরাও কর্মসূচি দিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ জন্য শনিবার সকালে কার্জন হলের গেটে সবাইকে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে দেশের প্রতিটি জেলাকোর্ট, জজকোর্ট ও বিচারপতিদের বাসভবন ঘেরাও করা হবে বলেও জানানো হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক বার্তায় বলা হয়, সবাই দ্রুত ১০টার মধ্যে কার্জন হলের গেটে আসুন, হাইকোর্ট ঘেরাও করা হবে। ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট ও নানা অপকর্মে জড়িত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সরকারের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনা না করে ফুল কোর্ট মিটিং ডেকেছেন।  

পরে কার্জন হলের সামনে জড়ো হয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। বিচারপতির বাসভবনের সামনেও অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্টে আইনজীবীরা বিক্ষোভ করছেন বলেও জানা গেছে।

এর আগে শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভা ডাকা হলেও পরে সেটি অনুষ্ঠিত হয়নি। 

আজকের ফুল কোর্ট সভা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্বতীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া তার ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ ও ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করার দাবি জানান তিনি।

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন প্রধান বিচারপতি