জাতীয়

মারার জন্য নয়, গড়ার জন্য দেশ বানিয়েছি : ড. ইউনূস

সংবাদমাধ্যমেই আমরা আবু সাঈদের গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার খবর জানতে পেরেছি। আপনাদের মহান শক্তি। এই শক্তিটাকে প্রয়োগ করে কীভাবে জাতিকে একত্র করা যায়, এক পরিবার বানানো যায়, কেউ কাউকে মারার জন্য নয়। আমরা মারার জন্য দেশ বানাইনি গড়ার জন্য দেশ বানিয়েছি বলে জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউসে এসব কথা বলেন তিনি

পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাইদকে স্মরণ করতে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রংপুরের একটি ছেলে (আবু সাঈদ) সারা বাংলাদেশকে পাল্টিয়ে দিয়েছে। শুধু বলেছে আর না, শাসক যতই অত্যাচার করুক সে আছেসে বুক পেতে দিয়েছে অত্যাচারকে গ্রহণ করার জন্য। তার বুক ছিঁড়ে গুলি চলে গিয়েছে। এই আত্মত্যাগ সারা বাংলাদেশকে জাগিয়ে দিয়েছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সরকারের যে অত্যাচারীর ভূমিকা, সেই ভূমিকা পরিবর্তন করতে হবে।  ন্যায়বিচার সভ্যতার কথা বললেও কিন্তু সেগুলোর অভাব ছিল। যা আবু সাঈদ সবার সামনে তুলে ধরলো

তিনি বলেন,  বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-হিন্দু এটা নিয়েও আবার মারামারি চলছে বলে শুনেছেন এটা যেন না হয়। কোনো ধর্মের উছিলা করে কারো ওপর কেউ যেন অত্যাচার করতে না পারে সেজন্য রুখে দাঁড়াতে হবে। যা হয়ে গেছে সেটা থেকে মুক্ত হতে চানসবাই মিলে নতুন করে পুনর্জন্ম লাভ করতে চান।

এর আগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মতবিনিময়কালে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবর্তন ও স্বাধীনতা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেনওগুলো সব নষ্ট হয়েছে বলেই তো আজকে সবাই দুঃখের মধ্যে। কাজেই এসব পরিষ্কার না করলে আবার বর্ববতার মধ্যেই থাকতে হবে। কাজেই এটা পরিষ্কার করতে হবে। এটার কোনো বিকল্প নেই।

নির্বাচন প্রসঙ্গে নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদ বলেন, এখনো আলাপ আলোচনা হয়নি। কতদিনে হলে ভালো হয় সেটা নিয়ে সবার মতামত নেওয়া হবে। যেটা ভালো হয় সেটাই করা হবে।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুর বিভাগের সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ। গেলো ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন পার্ক মোড়ে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশে গুলিতে তিনি নিহত হন।

 

 আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন গড়ার | দেশ