আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন থেকে কিছু নথি নিয়ে যাওয়ার খবর শুনে সেই সব নথি আটকানোর কথা জানিয়েছেন আসামিপক্ষের (ডিফেন্স কাউন্সেল) দুই আইনজীবী। তারা হলেন- আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
তবে প্রসিকিউশনের কর্মকর্তা জানান, তারা এগুলো তালা দিয়ে রেখেছেন।
সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আজ সকালে জানতে পারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন থেকে কিছু ডকুমেন্ট কিছু লোকজন নিয়ে যাচ্ছেন। খবর পেয়ে আমি এবং আবদুস সাত্তার পালোয়ান ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার অফিস এবং প্রসিকিউশন অফিসে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি এ রকম কিছু ঘটেছে।
‘সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাদের থামাই এবং ডকুমেন্টগুলো যার যার রুমে পাঠিয়ে যিনি অফিসের দায়িত্বে আছেন (আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগকৃত কর্মকর্তা) তার কাছে চাবি রেখে আসি। বলেছি, এগুলো রাষ্ট্রীয় সম্পদ। সরকার নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এখান থেকে কোনো নথি বের হবে না বা ঢুকবে না।’ বলেন এ আইনজীবী।
আরেক আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, ‘ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার অফিসের নথিও সংরক্ষণ করতে হবে। কোনো কর্মকর্তা যেন না নিয়ে যান। এটা সরকারের কাছে আমাদের দাবি। তারা আসামিপক্ষের (ডিফেন্স কাউন্সেল) আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন।’
স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালের ২৫ মার্চ। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। এখন একটি ট্রাইব্যুনালে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১) বিচার চলছে।
এসি//