সারাদেশে দীর্ঘ ২৭ দিন পর আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এরমধ্য দিয়ে পুরোদমে শুরু হলো রেলসেবা।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ভোর থেকে সময়সূচি অনুযায়ী বিভিন্ন স্টেশন থেকে ট্রেনগুলো ছেড়ে যাচ্ছে।
এর আগে, ১৩ আগস্ট থেকে শুরু হয় মেইল, এক্সপ্রেস, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচলের মধ্যে দিয়ে। প্রথমে মালবাহী, পরে লোকাল ও মেইল ট্রেন চালুর মধ্য দিয়ে ধাপে ধাপে ঘুরতে থাকে রেলের চাকা। সবশেষ আজ থেকে শুরু হলো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল। দেশের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল রেলসেবা।
আজ ভোর থেকে সারাদেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকার শিডিউল মেনে নির্দিষ্ট স্থানে ছেড়ে যাচ্ছে আন্তঃনগর ট্রেন। ঢাকায় ট্রেনগুলো পৌঁছালে আবার যাত্রা শুরু করবে। যেহেতু ঢাকার বাইরে থেকে এখনও আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকায় এসে পৌঁছেনি, ফলে ঢাকার কোনো আন্তঃনগর ছাড়েনি এখনও। দীর্ঘ বিরতির পর পুরোপুরি ট্রেন সেবা চালু হওয়ায় স্বস্তি জানিয়েছেন যাত্রীরাও।
১১ আগস্ট বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নাহিদ হাসান খাঁন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ১২ আগস্ট থেকে মালবাহী ট্রেন, ১৩ আগস্ট থেকে মেইল/এক্সপ্রেস/লোকাল/কমিউটার ট্রেন এবং আজ থেকে আন্তঃনগর ট্রেন পর্যায়ক্রমে চলাচল করবে। আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ১২ আগস্ট বিকেল ৫টা থেকে ক্রয় করা যাবে। তবে পারাবত ও জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।
এদিকে, বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (এসিওপিএস) কামাল আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়, দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ১৯ জুলাই থেকে গেলো ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনের কোচে অগ্নিসংযোগ, কোচের দরজা ও জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটে। জামালপুর এক্সপ্রেসের ৬টি কোচের জানালা, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসের ১৩টি কোচের ৫৮টি জানালা ও ১৮টি দরজা এবং পারাবত এক্সপ্রেসের ১৬টি কোচের ১৪১টি জানালা ও ২৭টি দরজার কাচ ভাঙচুর করা হয়।
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে রেকগুলো আখাউড়া ও ময়মনসিংহে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কোচগুলো বেজ স্টেশন এবং পাহাড়তলী শেডে পাঠিয়ে মেরামত করতে হবে, যা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে গত ১৮ জুলাই থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধাপে ধাপে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়। তবে, সরকারের কারফিউ জারির পর ১৯ জুলাই থেকে পুরোপুরি বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। এর মধ্যে গত ১-৩ আগস্ট পর্যন্ত সীমিত পরিসরে কমিউটার ট্রেন চলাচল করে।
কেএস//