কোটা সংস্কার আন্দোলনে হেলিকপ্টার থেকে গুলিতে শিশুদের নিহত হওয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং নিহত শিশুদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে কেন ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ রুলের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খোন্দকার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এটি রাষ্ট্রীয় পলিসির বিষয়। এটি সরকার ঠিক করবে কিভাবে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। এসময় হাইকোর্ট রিটকারীকে বলেন বর্তমান সরকার মাত্র কদিন হলো ক্ষমতায় এসেছে তাদের যৌক্তিক সময় দিতে হবে। পরে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের দায়ের করা রিটটিতে নিহত ৯ শিশুর বিষয়ে তদন্তের পাশাপাশি প্রত্যেক পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা বলা হয়। সেই সঙ্গে পরবর্তীতে যদি অন্য কোন শিশু মৃত্যুর সন্ধান পাওয়া যায় তবে তাকেও এই ক্ষতিপূরণের আওতাভুক্ত করা হবে।
এর আগে গেলো ১ আগস্ট অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার অংশবিশেষ সংগ্রহ করে রিটটি দাখিল করেন। তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন চেয়ে দাখিল করা রিটটি গেলো ৪ আগস্ট বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের বেঞ্চে উপস্থাপন করা হলে তারা শুনানিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
পরে বুধবার (১৪ আগস্ট) এ বিষয়ে শুনানি হয় বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে। এদিন আদালত মন্তব্য করেন, ‘যারা হেলিকপ্টার থেকে গুলি করেছে ও নির্দেশ দিয়েছে তারা সবাই অপরাধী বলা যায় আমরা যারা এই সিস্টেমের সঙ্গে ছিলাম তারা সবাই অপরাধী।’
এসি//