ফের এশিয়ার বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। বৃহত্তম তেল আমদানিকারী দেশ চীনের চাহিদা নিয়ে শঙ্কা থাকায় তেলের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। এ ছাড়া বিনিয়োগকারীরা মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিতে নজর রাখছে। যুদ্ধবিরতি হলে তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে ঝুঁকি কমবে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সকালে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দেয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৩ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমে ৭৯ দশমিক ৫৫ ডলারে নেমে এসেছে। এ ছাড়া ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড বা ডব্লিউটিআই ক্রুডের দামও ১৩ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল ৭৬ দশমিক ৫২ ডলারে নেমে এসেছে।
তেলের দাম ওঠা-নামার ক্ষেত্রে চীনের চাহিদা বড় ধরনের ভুমিকা রাখে। বছরের শুরুর দিকে চীনের তেল আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেকটা কমেছে। বছরের বাকি সময়ে চীনের তেলের চাহিদা বাড়বে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকায় গেল শুক্রবার তেলের দরপতন হয়েছে ২ শতাংশ। কিন্তু জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি কমায় ও দেশটির মানুষের ভোগব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার খবরে সামগ্রিকভাবে গেল সপ্তাহে তেলের দাম অপরিবর্তিত ছিল।
গবেষকরা বলছেন, অনেক কোম্পানি চীনের তেল চাহিদা নিয়ে শঙ্কায় আছেন। এমতবস্থায় কোম্পানিগুলো বাজারে তেল ছেড়ে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণ মৌসুম প্রায় শেষ। চূড়ান্ত সময় পার হয়ে যাওয়ায় তেলের চাহিদা নিয়ে বাড়তি শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধাবস্থা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব বাজারে দৃশ্যমান।
এদিকে তেল পরিশোধনাগারগুলো তেল পরিশোধন অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে।
জেডএস/