সময়ের অভাবে দামি শাড়িগুলো আলমারিতেই বন্দি হয়ে থাকে। অফিসে ব্যস্ত কাজের দিনে শাড়ি পরে যাবেন কি না ভাবতে ভাবতেই সময় চলে যায়। অনুষ্ঠানবাড়িতে শাড়ি পরার ইচ্ছা হলে হয়তো ভাবতে বসেন, মানাসই ব্লাউজ আছে কি না অথবা কী ভাবে সাজলে ভাল লাগবে। যদি শাড়ি পরার ইচ্ছা হয়, তা হলে নির্দ্বিধায় পরুন। শুধু জানতে হবে কোন জায়গায় কেমন শাড়ি পড়বেন, চেহারার গড়ন অনুযায়ী সাজ কেমন হলে যে কোনও জায়গায় আপনিই হয়ে উঠবেন মধ্যমণি।
প্রথমত, শরীরের গড়ন অনুযায়ী শাড়ি বাছুন। যে কোনও পোশাক যে কেউ পরতে পারেন, কিন্তু তাতে স্বচ্ছন্দ হতে হবে নিজেকেই। যদি উচ্চতা কম হয়, তা হলে খুব মোটা সুতির বা জরির কাজ করা ভারী শাড়ি বাছবেন না। চেহারার গড়ন ভারীর দিকে হলে গাঢ় রঙের শাড়ি বাছুন। যদি রোগা দেখাতে হয়, তা হলে কিন্তু কালো, মেরুন, গাঢ় নীলের মতো শেড বাছাই করুন। খুব বেশি জমকালো কারুকাজ কিংবা বড় নকশা থাকলে তেমন শাড়ি এড়িয়ে চলুন। চওড়া পাড়ের শাড়ি নয়, সরু পাড়ের শাড়িই ভাল লাগবে। শাড়ির সঙ্গে উঁচু হিলের জুতো পরুন।
চওড়া কারুকাজ করা পাড়ের সাবেকি শাড়ির সঙ্গে চটক আনতে স্লিভলেস ছিমছাম কাজের ব্লাউজ পরতে পারেন। টিস্যু সিল্ক শাড়ি এখন খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই রকম শাড়িতে একটু অন্য রকম লুক আনতে ডিপ ভি নেক ব্লাউজ় বানিয়ে নিতে পারেন। কোটা শাড়ি যে কোনও অনুষ্ঠানেই পরছেন মেয়েরা। এই শাড়ি একটু স্বচ্ছ। তাই গলা ঢাকা সাবেকি ধাঁচের ব্লাউজ ভাল মানাবে এর সঙ্গে। ঢাকাই জামদানির মতো শাড়ি হলে ভি নেক, কনুই অবধি হাতার ব্লাউজ পরলে ভাল লাগবে। ছিমছাম সান্ধ্য আড্ডায় বা ঘরোয়া পার্টিতে সুতির হ্যান্ডলুমের সঙ্গে হল্টার নেক পরে চমকে দিতে পারেন। শাড়ি যদি খুব জমকালো শিফনের বা সিল্কের, তা হলে একদম সাদামাঠা স্লিভলেস ব্লাউজ পরে নিন।
ভারী গয়নার চেয়ে হালকা গয়না পরারই ফ্যাশন এখন। লম্বা হার পরলে ছোট কানের দুল, এক হাতে একটা বালা পরুন। শাড়ির সঙ্গে রুপোর গয়না পরতে পারেন। তার সঙ্গে মানানসই চুড়ি, কানের দুলও থাকা চাই। রুপোর বদলে অক্সিডাইজ়ড গয়নাও পরা যায়। টেরাকোটা একটু ভারী হয়। যদি সেই ভার বইতে পারেন, তা হলে তা-ও চলতে পারে। শাড়ি বা ব্লাউজ়টি যদি খুব জমকালো হয়, তা হলে খুব বেশি অনুষঙ্গের প্রয়োজন পড়ে না। গাঢ় কোনও লিপ কালার বা আই মেকআপ ব্যবহার করেই দারুণ লুক তৈরি করে নিতে পারেন।
কেএস//