রাজশাহীর বাঘায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দুই মামলায় ১৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় আরো ১৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ আগষ্ট) রাতে জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সালাউদ্দিন আহম্মেদ শামীম সরকার এবং ছাত্রদল কর্মী জাহিদ হাসান পৃথকভাবে বাদি হয়ে এ দুই মামলা করেন।
জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সালাউদ্দিন আহম্মেদ শামীম সরকারের দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক এমপি শাহরিয়ার আলমসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২১ মে দুপুরে বাঘা নতুন বাসস্ট্যান্ডে রাকিবের দোকান থেকে সালাউদ্দিন আহম্মেদ শামীম সরকারকে হত্যার উদ্দেশ্যে চোখ মুখ বেধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হুকুমে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সমর্থিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশিও অস্ত্র ঠেকিয়ে উঠে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে মারপিট করে। পরের দিন বৈদ্যুতিক শক দেয়া হয় এবং পায়ে রিভলভার ঠেকিয়ে গুলি করে। এতে পায়ের তিনটি নখ উপড়ে দেয়া হয়। এক সপ্তাহ যাবত নারকীয় টর্চার শেষে ২৮ মে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
অপর দিকে ছাত্রদল কর্মী জাহিদ হাসানের মামলার এজাহারে বলা হয়, পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কিশোরপুর বাজারে মুদিখানার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে ২৫ আগষ্ট সকাল ১১টায় আওয়ামী লীগের নেতামর্কীরা হাসুয়া, লোহার রড়, চাইনিচ কুড়াল, হকিস্টিক, পিস্তল নিয়ে হামলা করে। পরে সেখানে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়ে জালিয়ে দেয়া হয়। এই ঘটনায় জাহিদ হাসান বাদি হয়ে ১৪১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ১০০-১৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি আবু সিদ্দিক বলেন, পৃথকভাবে দুটি অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এসি//