কয়েক মাস ধরে সবজির দাম বাড়তি থাকলেও, গেলো কয়েক সপ্তাহ ধরে কমতে শুরু করেছে দাম। একই অবস্থা মুরগির বাজারেও। তবে ব্যবসায়ীরা মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় কিছু সবজির দাম বাড়তি বললেও, ক্রেতারা বলছেন ছাত্রদের নজরদারী না থাকায় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছেন।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর বেশ কিছু বাজার ঘুরে নিত্য পণ্যের দামের এ চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
বাজারে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দুল প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ২৫০-২৭০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৫০ টাকা, আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা এবং কাঁকরোল প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কিছুটা বাড়তি দামে বেগুন প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকায়, কচুর লতি প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা, মূলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুরমুখি প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১৪০-১৫০ টাকা, গাজর প্রতি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা এবং কচুরলতি প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আলুর দামও কিছুটা কমেছে । প্রতিকেজি ৬০ টাকা দরের আলু এখন ৫৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া কাঁচা মরিচের দাম ২০০ টাকার ওপরে ছিল,বর্তমানে পণ্যটি ১৬০ টাকা দরে নেমেছে।
বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া প্রতি কেজি ১০ টাকা কমে সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের বাজার দেখা গেছে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। ৫ টাকার মতো বেড়ে ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। পাম অয়েলের বাজারেও দর বাড়তির দিকে। ডিলার পর্যায়ে প্রতি ড্রামে (২০৪ লিটার) দেড় হাজার টাকার মতো বেড়েছে। তাতে খুচরা পর্যায়ে লিটারে বেড়েছে চার থেকে পাঁচ টাকা। সোয়াবিন তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এছাড়াও বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়,আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়, শুকনো মরিচ দেশি ৪০০ টাকা, আর আমদানি করা মরিচ ৫০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। হলুদ প্রতি কেজি ৪০০ টাকায়, দেশি আদা প্রতি কেজি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে মিনিকেট চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭২ টাকায়, আটাশ চাল ৫৭-৫৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৬-৫৮ টাকা কেজি। এছাড়া জিরাশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকায়, নাজিরশাইল ৭১-৭৩ টাকা, কাটারি নাজির ৭৭-৭৯ টাকায়, কাটারি আতপ চাল ৬৬-৬৮ টাকা কেজি, চিনিগুড়া মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭৭-১১৫ টাকায়।
রাজধানীর মালিবাগ বাজারে বাজার করতে আসে বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাজারে তুলনামূলক সবজির দাম কিছুটা কমেছে। এছাড়া বাকি সবকিছুর দামই বাড়তি যাচ্ছে। কিছুদিন ছাত্রদের বাজার মনিটরিং করতে দেখেছেন তখন বাজারে অনেক কিছুরই দাম কিছুটা কম ছিল। এখন আবার বাজারে সব পণ্যের দাম যে যার মতো বাড়িয়ে দিচ্ছে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিং এর প্রত্যাশা ক্রেতাদের।
আই/এ