দেশজুড়ে

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪

বায়ান্ন প্রতিবেদন

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে চার তরুণকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই চার তরুণসহ ছয়জন বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত আটকে রেখে ভুক্তভুগী ওই কিশোরিকে ধর্ষণ করে। ওই কিশোরীর চাচা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃতদের  জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- তেঁতুলিয়া উপজেলার দর্জিপাড়া এলাকার মো.আব্দুল্লাহ (২০), নাহিদ হাসান (১৭), রেদওয়ান হোসেন রতন (১৭) ও সাব্বির হোসেনকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়।  অন্য দু’জনকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।  ওই কিশোরীর বাড়ি নীলফামারীর ডোমার উপজেলার গোমনাতি এলাকায়।

পুলিশ সুপার জানিয়েছ, বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তেঁতুলিয়া বাজারে অবস্থান করেন ভুক্তভোগী ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরী। সেদিনই আব্দুল্লাহ তাকে ফুসলিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে দর্জিপাড়ার বুড়াঠাকুরের নামের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে দু’চালা টিনের ঘরে রাখে। পরের দিন শুক্রবার আব্দুল্লাহ তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর তাকে খাবার আনার কথা বলে রেখে পালিয়ে যায়।

একই দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভুক্তভোগীকে ঘটনাস্থলে পেয়ে নাহিদ হাসান ও সাব্বির হোসেন আবার ধর্ষণ করে। পরে তারা ওই কিশোরীকে রেখে তার জন্য তেঁতুলিয়া বাজার থেকে খাবার নিয়ে আসার সময় রেদওয়ান হোসেন রতনের সঙ্গে দেখা হয়। তারা তিনজনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীকে খাবার খাওয়ায়ে রতনের হাওলায় নাহিদ ও সাব্বির কৌশলে চলে যায়। পরে দুপুর ২টার দিকে রতন ওই নারীকে ধর্ষণ করে। এরপর রতন ওই নারীকে মাগুরা মোড় এলাকায় রেখে সেও পালিয়ে যায়। পরে ওই নারী মাগুরা মোড় হতে তেঁতুলিয়া বাজার পর্যন্ত ঘোরাফেরা করতে থাকলে স্থানীয় লোকজন তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

জেডএস/

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ধর্ষণ | গ্রেপ্তার ৪