বাংলাদেশ

দুই ভাইকে হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

বায়ান্ন প্রতিবেদন

দুই ভাইকে হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কাওসার ও মিল্টন নামে দুই ভাইকে হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ এম আলী আহমেদ এ আদেশ দেন।

কাওসার ও মিল্টন উপজেলার কোদালিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের আনতাব আলী ও হায়াতুন নেছা দম্পতির ছেলে। দণ্ডপ্রাপ্তরা মামলার বাদী হায়াতুন নেছার সম্পর্কে চাচাতো ভাই।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চৌহালী উপজেলার কোদালিয়া উত্তর পাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে নাছির উদ্দিন (৪০) ও শহীদুল ইসলাম (৫০) ও একই গ্রামের সমেশ আলীর ছেলে ইসরাফিল হোসেন (৬৫)। আদালতের স্টেনোগ্রাফার রাশেদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, সেই পাম্প দিয়ে তিনি এলাকায় কৃষকের জমিতে পানি দিতেন। সেই ধারাবাহিকতায় দণ্ডপ্রাপ্ত শহীদুল ইসলামের জমির পাস দিয়ে একটি সেচ নালা কেটে আনতাব আলী বিভিন্ন কৃষকদের জমিতে সেচ দিতেন। চৌহালীর কোদালিয়া গ্রামের কাওসার ও মিল্টনের বাবা আনতাব আলীর একটি সেচ পাম্প রয়েছে। ২০১৮ সালের নভেম্বরের মধ্যভাগে জমির পাশ দিয়ে যাওয়া নালা আসামী শহীদুল ইসলাম কেটে বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে আনতাব আলীর দুই ছেলে কাওসার ও মিল্টন প্রতিবাদ করলে শহীদুল তাদের নানা হুমকি দেয়। এরপর ওই বছরের ৭ ডিসেম্বর বিকাল ৩টার দিকে কাওসার কোদালিয়া উত্তর পাড়া গ্রামে শহীদুল ইসলামের চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে তাকে লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া করে শহীদুল। ভয়ে কাওসার তার আপন মামা আব্দুস সাত্তারের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে মুঠোফোনে বিষয়টি তার মাকে জানালে কাওসার ঘর থেকে বের হয়ে বাইরে আসলে শহীদুলসহ অন্য আসামিরা লাঠিসোটা নিয়ে কাওসারের ওপর হামলা চালায়। তখন মিল্টন সেটি ঠেকাতে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে। পরে গুরুতর অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসারত অবস্থায় রাতেই তারা মারা যান।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পরে ৮ ডিসেম্বর নিহতের মা হায়াতুন নেছা বাদী হয়ে চৌহালী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার ১৬ স্বাক্ষীর দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ আদালত এ আদেশ দেন।

এএম/

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন হত্যা | মৃত্যুদণ্ড