প্রতিবেশী দেশে সমুদ্র ও নৌপথে ইলিশ ও সার চোরাচালানের ঝুঁকি রয়েছে। এই চোরাচালান ঠেকাতে কোস্টগার্ডকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কোস্টগার্ডের সদর দপ্তরে বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নাবিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "নিজস্ব চাহিদা বিবেচনায় সরকার এ বছর ভারতে ইলিশ রপ্তানি করছে না। তাছাড়া বিদ্যমান ডলার সংকটের মধ্যেও সরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ সার আমদানির মাধ্যমে সারের যোগান অব্যাহত রেখেছে। এ প্রেক্ষাপটে প্রতিবেশী দেশগুলোতে ইলিশ ও সারের চোরাচালানের ঝুঁকি আছেন। কোস্টগার্ড সদস্যদের মূল দায়িত্ব হিসেবে সমুদ্র ও নৌপথে ইলিশ ও সার-সহ বিভিন্ন পণ্যের চোরাচালান বন্ধে সতর্ক থাকতে হবে।”
দুর্নীতি নিয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এই অপরাধ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। এখন এমন কোনো সেক্টর পাওয়া যাবে না যেখানে দুর্নীতি নেই।“
কোস্টগার্ড সদস্যদের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানে থেকে তাদের অতীত ঐতিহ্য ও সম্মান বজায় রেখে, অস্ত্রসহ বিভিন্ন ক্রয় ও সংগ্রহের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখার আহবান জানান জাহাঙ্গীর আলম।
কোস্টগার্ড সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, "আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীগুলোর মধ্যে নৈতিকতার ক্ষেত্রে স্খলন দেখা দিলেও কোস্টগার্ড এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তারা নৈতিক মানদণ্ড বজায় রেখেছে ও দায়িত্বের ক্ষেত্রে ভালো পারফরমেন্স দেখিয়েছে।"
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ও কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়াল এডমিরাল মীর এরশাদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
এসি//