বাংলাদেশ দল অলআউট হলো ১৪৯ রানে। ভারতের সুযোগ ছিল ফলো-অন দেয়ার। তবে তারা ২৭৭ রানে এগিয়ে থেকে আবারও ব্যাট করতে নামবে। ভারতের পক্ষে বল হাতে জাসপ্রীত বুমরাহ একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট।
বাংলাদেশ দলের ব্যাটারদের তেমন কোনো সুযোগ দিলেন না ভারতের বোলাররা। একেবারে দিশেহারা করে দিয়ে তুলে নিলেন একের পর এক উইকেট। কেবলমাত্র সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসের জুটি কিছুটা দীর্ঘ হয়েছে। বাকিরা ক্রিজে টিকে থাকার তেমন কোনো সুযোগ পাননি।
শুরুতেই জাসপ্রীত বুমরাহর আঘাত এসেছে বাংলাদেশ শিবিরে। একইসাথে মোহাম্মদ সিরাজ ও আকাশ দ্বীপ ছিলেন অন্যপ্রান্ত থেকে। দুই স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের কাছ থেকেও চাপ এসেছে বাংলাদেশি ব্যাটারদের কাছে।
শুরুতে ভারতীয় পেসারদের সামলাতে গিয়ে ভুগেছে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে বুমরাহর ডেলিভারিতে ফিরেছেন সাদমান ইসলাম। মধ্যাহ্ন বিরতির আগের ওভারে পর পর দুই বলে জাকির হাসান ও মমিনুল হকের উইকেট তুলে নিয়েছেন আকাশ।
নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমও ফিরতে সময় নেননি। নাজমুলকে সিরাজ ও মুশফিককে ফিরিয়েছেন বুমরাহ।
বাংলাদেশের এমন ব্যাটিং ধসের মুহূর্তে লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান হাল ধরেছিলেন। দুজনে মিলে ৫১ রানের জুটি গড়েছিলেন। এরপর প্রথমে লিটন, পরে সাকিব আউট হয়ে ফিরেছেন।
রবীন্দ্র জাদেজার ডেলিভারিতে সুইপ খেলার চেষ্টা করেন লিটন, উড়তে থাকা বলটি লুফে নেন বদলি ফিল্ডার ধ্রুব জুরেল। যে শট খেলার কোনো প্রয়োজন ছিল না, সেই শট খেলেই ২২ (৪২) রানে ফিরে যান লিটন।
জাদেজা এর পরের ওভার করতে এসে সাকিবকে ফিরিয়েছেন। যেখানে রিভার্স সুইপ খেলতে গেছেন সাকিব। আর ব্যাটে লেগে চলে যায় রিশাব পান্টের গ্লাভসে। ৬৪ বলে ৩২ রান করে ফিরেছেন এই ব্যাটার।
দলীয় ১১২ ও ১৩০ রানে ফিরেছেন হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ। দুজনকেই ফিরিয়েছেন বুমরাহ। একপ্রান্তে তখন মেহেদী হাসান মিরাজ আগলে ছিলেন। নতুন ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসেন নাহিদ রানা। মিরাজ ও নাহিদ মিলে ১৯ রানের ছোট এক জুটি করেন। এরপর সিরাজের ডেলিভারিতে ইনসাইড এজ হয়ে ফিরে যান নাহিদ। তিনি ১১ রান যোগ করেন ব্যক্তিগত খাতায়।
অন্যপ্রান্তে মিরাজ ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এম এইচ//