৫৫ তম জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ভোলা জেলার মহিষের দুধের কাঁচা দই। সাগর ও নদীর তীরে গড়ে ওঠা এই দ্বীপ জেলার জীবনমান ও খাদ্য তালিকায় রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। সেই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘকাল ধরেই মহিষের কাঁচা টক দই ব্যাপক জনপ্রিয়। এটি স্থানীয়ভাবে 'মইষা দই' নামে পরিচিত। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দধি জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান।
প্রায় দুইশ বছরের ঐতিহ্যবাহী মহিষের দুধের কাঁচা দইকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য গেলো বছরের ১৯ ডিসেম্বর ভোলার জেলা প্রশাসক পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ নম্বর ক্যাটাগরিতে পণ্যটি ৫৫ তম জিআই হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
ভোলা জেলা সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন, বিষয়টি আনন্দের। ভোলার মানুষের জীবন যাপণে যেমন স্বতন্ত্রতা রয়েছে তেমনি খাবারেও রয়েছে নিজস্বতা। এ স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে ভোলায় মহিষ পালনকারী ও দই উৎপাদনকারীদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বলেছেন, ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দইয়ের যে স্বীকৃতি সেটি অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই ভোলার ঐতিহ্য। এটি অন্য জেলার হতে পারে না। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা অনেক চেষ্টা করে এটি ফিরে পেয়েছে। এর মাধ্যমে এটির বৈশ্বিক স্বীকৃতি মিলেছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় প্রথমত এই পণ্যটি ভোলার বলে চিহ্নিত হলো। দ্বিতীয়ত, এই স্বীকৃতির মাধ্যমে পণ্যটির বাণিজ্যিকীকরণের সুবিধা বাড়ল। এই দধি এখন দেশের বাইরেও রপ্তানি করা যাবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে দধি উৎপাদনে মানের উন্নতি হবে।
পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান বলেছেন, জেলা ২৪ সেপ্টেম্বর অধিদপ্তর থেকে এসংক্রান্ত তিনটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। বাকি দুটি পণ্য হলো মধুপুরের আনারস ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি। আরো বেশ কয়েকটি পণ্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও তারা এখনো সার্টিফিকেট ফি জমা না দেয়ায় তাদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়নি। তিনি আশা করছেন এগুলোও দ্রুত হয়ে যাবে।
জেডএস/
