টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে কানপুরে আজ (বৃহস্পতিবার) সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সাকিব।
সংবাদ সম্মেলনে সাকিব জানান, 'যদি সুযোগ থাকে, আমি যদি দেশে যাই, খেলতে পারি, তাহলে মিরপুর টেস্ট হবে আমার জন্য শেষ।'
‘আমার তো মনে হয়, টি-টোয়েন্টিতে আমার শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছি বিশ্বকাপে।’
আগামী অক্টোবর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরমধ্যে একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মিরপুরে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেন সাকিব। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে হওয়া সেই ম্যাচটি সাকিবের বিদায়ী টি-টোয়েন্টি হিসেবে লেখা থাকবে।
সাকিবের টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে। তারপর থেকে টানা ৯ বিশ্বকাপ খেলেছেন এই অলরাউন্ডার।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফেরার পথ খোলা রেখেছেন সাকিব। বিশ্বের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে তিনি খেলবেন। এরপর বিসিবি যদি মনে করে সাকিবকে টি-টোয়েন্টি দলে দরকার, এবং এই অলরাউন্ডার যদি নিজেকে ফিট মনে করেন- সেক্ষেত্রে আবারও ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে দেখা যেতে পারে তাকে।
এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আমি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো খেলতে থাকি, ছয় মাস–এক বছর পরে যদি বিসিবি মনে করে আমার টি-টোয়েন্টিকে কন্ট্রিবিউট করার সুযোগ আছে, আমি পারফর্ম করছি এবং ফিট আছি, দেন আমরা ডিসাইড করতে পারি।‘
টেস্টে সাকিবের অভিষেক হয় ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে, চট্টগ্রামে। এই বাংলাদেশি তারকার টেস্ট ক্যারিয়ার দীর্ঘ ১৭ বছরের। সাকিব টেস্টে ৭০ টি ম্যাচ খেলে ৩৮ এর বেশি গড়ে ৪ হাজার ৬০০ রান করেছেন। যেখানে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা ৫ টি, হাফ সেঞ্চুরি ৩১ টি।
অন্যদিকে টি-টোয়েন্টিতে ১২৯ ম্যাচ খেলে ১২১ এর বেশি স্ট্রাইক রেট নিয়ে ২ হাজার ৫৫১ রান করেছেন সাকিব। টেস্ট ক্রিকেটে বল হাতে সংগ্রহ করেছেন ২৪২ টি উইকেট, যেখানে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিয়েছেন ১৪৯ উইকেট।
এম এইচ//