থাইল্যান্ডের উত্তরের লামফুন প্রদেশের একটি খামারে ১২৫টি কুমিরকে ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অঞ্চলটির বেশ কয়েকটি কুমিরের খামার ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।খামারের কুমিরগুলো পালিয়ে গিয়ে গ্রামের বাসিন্দা কিংবা গবাদি পশুর জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে এমন আশঙ্কায় এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে মালিকপক্ষ। বুধবার(২৫ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
খামারের মালিক নাত্থাপাক জানায়, এই খামারে ১২৫টি বিশাল আকারের সিয়ামিজ কুমির ছিল। এক একটা প্রায় তিন মিটার লম্বা। খামারের প্রাচীরগুলো বন্যার পানিতে ভেঙে গিয়েছিলো। কুমিরগুলো ১৭ বছর ধরে লালন করছিলেন তিনি। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে আর কোনো উপায় ছিল না। কুমিরগুলোকে বিদ্যুতায়িত করে হত্যা করার পর একটি ডিগার ব্যবহার করে তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
নাত্থাপাক আরও জানান, তিনি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন কুমিরগুলোর জন্য সাময়িক আশ্রয় নিশ্চিত করতে। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি।
থাইল্যান্ডের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের পশু চিকিৎসক পাতারাপোল মানিওর্ন বলেন, চাইলেই কুমিরগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া যেত।
পাতারাপোল আরও বলেন, সিয়ামিজ কুমির বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী হিসেবে বিবেচিত হলেও থাইল্যান্ডে তাদের বাণিজ্যিক চাষ বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে চামড়ার জন্য। তবে এই দুর্যোগে ১২৫টি কুমিরের মৃত্যু বিপদজনক প্রাণীদের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সচেতনতা তৈরির করবে।
এই ঘটনাটি মনে করিয়ে দেয় যে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সামনে দাঁড়িয়ে প্রাণী এবং মানুষের জীবন কতটা জটিল হয়ে উঠতে পারে। কখনো কখনো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যা হৃদয় ভারী করে তোলে। কিন্তু সেটি মানুষের জীবনের নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য।
জেডএস/