বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ ২৭ সেপ্টেম্বর 'বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২৪' দিবস পালিত হতে যাচ্ছে। বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২৪’ যথাযথভাবে উদযাপিত করবে। জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘ট্যুরিজম অ্যান্ড পিস’ যার বাংলা প্রতিপাদ্য করা হয়েছে ‘পর্যটন শান্তির সোপান’।
পর্যটনের ভূমিকা সম্পর্কে সবার মধ্যে জনসচেতনতা বাড়ানো লক্ষ্যে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডসহ বিভিন্ন পর্যটন সংস্থা নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উপযোগিতাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া এর অন্যতম উদ্দেশ্য।
দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আলাদা বাণী দিয়েছেন।
প্রতি বছর ২৭শে সেপ্টেম্বর উদযাপিত হয় বিশ্ব পর্যটন দিবস। এই দিনটি জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা (UNWTO) ১৯৮০ সাল থেকে আন্তর্জাতিকভাবে পালন করছে। এই তারিখটি বেছে নেওয়া হয়েছিল ১৯৭০ সালে, যখন UNWTO-র সংবিধি গৃহীত হয়েছিল। পর্যটন শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয় সামাজিক, সাংস্কৃতিক, এবং রাজনৈতিকভাবে দেশগুলির উপর বিশাল প্রভাব ফেলে। এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হল আন্তর্জাতিকভাবে পর্যটনের গুরুত্ব তুলে ধরা।
১৯৯৭ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত UNWTO-এর সাধারণ অধিবেশনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে প্রতি বছর একটি দেশকে বিশ্ব পর্যটন দিবসের আয়োজক হিসেবে মনোনীত করা হবে। এর মধ্যে ২০০৬ সালে ইউরোপ, ২০০৭ সালে দক্ষিণ এশিয়া, ২০০৮ সালে আমেরিকা, ২০০৯ সালে আফ্রিকা এবং ২০১১ সালে মধ্যপ্রাচ্যে দিবসটি উদযাপিত হয়।
বিশ্ব পর্যটন দিবসের রঙ হল নীল। এটি শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতীক। নাইজেরিয়ার নাগরিক ইগনাশিয়াস আমাদুওয়া আতিগবি ছিলেন সেই ব্যক্তি, যিনি প্রথম ২৭শে সেপ্টেম্বরকে বিশ্ব পর্যটন দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যদিও তিনি ২০০৯ সালে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পান, তার এই অবদান বিশ্বব্যাপী পর্যটন শিল্পকে আরও পরিচিত করে তুলেছে।
এ বছর বিশ্ব পর্যটন দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হল টেকসই পর্যটন ও পরিবেশ সুরক্ষা। দেশগুলো চাইছে এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে যে পর্যটন কেবল অর্থনৈতিক লাভ নয়, এটি মানুষের মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলা এবং টেকসই নিয়ে কাজ করাও গুরুত্বপূর্ণ।
জেডএস/