বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রক্তচোষা ও সাইকোপ্যাথ হিসেবে অভিহিত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাময়িকী টাইমের সাথে কথা বলার সময় নাহিদ ইসলাম এ মন্তব্য করেন। গত মঙ্গলবার নাহিদ ইসলামকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে টাইম। প্রতিবেদনের শিরোনাম করা হয়েছে ‘হাউ নাহিদ ইসলাম বিকেইম এ ফেইস অব বাংলাদেশ’স স্টুডেন্ট রেভ্যুলেশন’।
How Nahid Islam Became a Face of Bangladesh’s Student Revolution
ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রধান চরিত্র ২৬ বছর বয়সী নাহিদ ইসলামকে নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি, বাংলাদেশের প্রভাবশালী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ, আন্দোলনের পরিকল্পনা, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতা গ্রহণ ও বর্তমান সরকারের কর্ম পরিকল্পনার বিষয়ে প্রতিবেদনে আলোকপাত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলন দেশব্যাপী জনতার আন্দোলনে রূপ নিলে ক্ষমতাচ্যুত হন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যাকে এক সময় পৃথিবীর অন্যতম ক্ষমতাধর নারী হিসেবে বিবেচনা করা হতো। ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র নাহিদ ইসলাম।
চলতি সেপ্টেম্বরে এক রোববার সন্ধ্যায় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে টাইমকে সাক্ষাৎকার দেন নাহিদ। কাঠের প্যানেলে সাজানো কক্ষে অভিজাত এক কালো চামড়ার চেয়ারে বসে শান্ত কণ্ঠে টাইমকে তিনি বললেন, ‘হাসিনা রক্তচোষা ও সাইকোপ্যাথ (মানসিকভাবে অসুস্থ)।’
আন্দোলন চলাকালীন নাহিদ ইসলামসহ অন্য আন্দোলনকারী কীভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হন সে বিষয়টিও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৬ জুলাই আবু সাঈদ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার বিষয়ে নাহিদ টাইমকে বলেন, সেই হত্যাকাণ্ড আন্দোলনের জন্য গেম-চেঞ্জিং মুহূর্তে পরিণত হয়।’ ছাত্র আন্দোলন দ্রুত দেশজুড়ে জনসংখ্যার একটি বড় অংশকে আচ্ছন্ন করে। এ আন্দোলন দেশের মানুষকে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার, ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং ক্রমবর্ধমান স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে তাদের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ প্রকাশ করার একটি সুযোগ করে দেয়।
নাহিদ ইসলাম আরও বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হলো, দুর্নীতির মূলোৎপাটন করে নির্বাচনের আগে দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনা। ‘আমরা এখানে আছি খুব অল্প সময়ের জন্য। ’
‘দুর্নীতি ও সহিংসতা- লোকজন আর চায় না,’ বলেন তিনি। ‘আমাদের নতুন প্রজন্মের পালস বুঝতে হবে। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
এনএস/