নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এর আগে একরামুলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিনি নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ৭ টা ৪০ মিনিটের দিকে তাকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে নেয়া হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রামের খুলশি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস।
র্যাব কর্তৃক জানা যায়, একরামুল করিমের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও নাশকতার অভিযোগে ৫ টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার সকাল সোয়া ৭ টায় একরামুলকে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১ নং আমলি আদালতে হাজির করা হয়। পরে সুধারাম মডেল থানার একটি হত্যা মামলায় একরামুল করিম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদ হোসেন।
একরামুল করিম চৌধুরী ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নোয়াখালী-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন একরামুল। তবে সেবার তিনি পরাজিত হন।
একরামুল করিম চৌধুরীর পরিবার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার স্ত্রী কামরুন নাহার শিউলী নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একরামুলের পুত্র আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী কিছুদিন আগে সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এছাড়া তার ভাতিজা জহিরুল হক রায়হান কবিরহাট পৌরসভার মেয়র।
এম এইচ//