মাত্র ছয় মাসে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়েছে ১০ বছরের মো. এমদাদুল ইসলাম। দ্রুত সময়ে ৩০ পারা কোরআন হিফজ করায় আনন্দিত এমদাদের পরিবার ও শিক্ষকরা।
মো. এমদাদুল ইসলাম নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার থানারহাট এলাকার ব্যবসায়ী মো. এরশাদুল উদ্দিনের ছেলে। সে উপজেলার তামীরুল উম্মাহ হিফজুল কুরআন মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
জানা গেছে, সাড়ে ৫ বছর বয়সে স্থানীয় মাদরাসায় নুরানি শাখায় মো. এমদাদুল ইসলামকে ভর্তি করান তার বাবা। তার দাদির স্বপ্ন ছিল এমদাদকে হাফেজ বানাবেন। এরপর তিন বছর নুরানি পড়ে এমদাদ। ২০২৪ সালে সে তামীরুল উম্মাহ হিফজুল কুরআন মাদরাসায় ভর্তি হয়। তারপর ৩ মাস নাজরানা বিভাগে পড়ার পর কোরআন সবক নেয় এমদাদুল ইসলাম। এরপর মাত্র ৬ মাসে পবিত্র কুরআন হিফজ (মুখস্থ) করে সে।
এমদাদুল ইসলামের বাবা এরশাদুল বলেন, কোরআনের হাফেজ হয়ে এমদাদ আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। তার দাদির ইচ্ছা ছিল তাকে হাফেজ বানানো। সে তার দাদির স্বপ্ন পূরণ করেছে। তার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। আল্লাহ যেন আমার ছেলেকে কবুল করে।
এমদাদুল বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমার ওস্তাদরা আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করেছেন। ওস্তাদদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি প্রথম ভেবেছিলাম অনেক কঠিন হবে। কিন্তু আল্লাহ আমাকে সহজ করে দিয়েছেন।
হেফজ বিভাগের শিক্ষক মো. আবু ইউসুফ বলেন, এমদাদুল এক প্রতিভাবান ছাত্র। ২০২৪ সালের শুরুতে সে আমাদের মাদরাসায় ভর্তি হয়। তারপর তিন মাস নাজেরা পড়ে। এরপর ছয় মাসেই সে পুরো ৩০ পারা কোরআন আয়ত্ত করতে পেরেছে। আলহামদুলিল্লাহ।
তামীরুল উম্মাহ হিফজুল কুরআন মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মো. নাছরুল্লাহ বলেন, মাত্র ৬ মাসে আল্লাহর কালাম মুখস্থ করা সৌভাগ্যের বিষয়। আল্লাহ এমদাদুলকে সেই মেধা দিয়েছেন। সে জন্য মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
জেএইচ