বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। এই দেশে নৈতিক মূল্যবোধের উচ্চ মর্যাদা রয়েছে। এখানে সব ধর্মের মানুষের বোধ বিশ্বাস অক্ষুণ্ণ রেখেই পাঠ্যবই প্রণয়ন করা উচিত। পাঠ্যবইয়ে দেশের মানুষের ধর্মীয়, নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ অক্ষুণ্ণ থাকবে। কেননা শিক্ষা একটা জাতির মেরুদণ্ড, জাতি গড়ার কারিগর। জানালেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান ড. রিয়াজুল হাসান।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এনসিটিবি কার্যালয়ে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
পরে আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করীম আবরার বলেন, পাঠ্যপুস্তকে ধর্মীয় মূল্যবোধ বিরোধী কোনো কিছু থাকতে পারে না। বিশেষত বিদেশি অনুগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বিগত সময়ে পাঠ্যবইয়ে ইসলামবিরোধী, দেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ বিরোধী অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত করেছিল। জাতির বৃহত্তর কল্যাণের স্বার্থেই সেগুলো পরিবর্তন করা উচিত।
রেজাউল করীম আবরার বলেন, আমরা চাই দেশের মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধে যেন আঘাত না আসে। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান- সব ধর্মেই মানুষকে নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষা দেয়। সম্মিলিতভাবে সেটাই এই দেশের মানুষের সামাজিক মূল্যবোধ। সেখানে কোনোভাবেই দেশের বৃহৎ সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ নষ্ট হতে দেয়া যায় না। তাহলে গোটা জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে।
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ বিগত সময়ের পাঠ্যবই নিয়ে একটি গবেষণা পর্যালোচনা এনসিটিবি চেয়ারম্যানকে হস্তান্তর করেন।
এসময় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সচিব ফিরোজ আল ফেরদৌস, উপসচিব (প্রশাসন) সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
জেএইচ