বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।বাংলাসহ আরও মোট পাঁচটি ভাষাকে এই স্বীকৃতি দিয়েছে দেশটি।বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলা, মারাঠি, পালি, প্রাকৃত ও অসমীয়া ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেছেন, 'আমাদের সরকার ভারতের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার কাজ করে। আমরা আঞ্চলিক ভাষাগুলোকে জনপ্রিয় করার বিষয়ে দায়বদ্ধ। আমি অত্যন্ত খুশি যে অসমীয়া, বাংলা, মারাঠি, পালি ও প্রাকৃতকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই ভাষাগুলো অপূর্ব। তারা আমাদের অসাধারণ বৈচিত্র্যের সাক্ষ্য বহন করে।'
ভারতে ধ্রুপদী ভাষা ঘোষণার আগে কিছু মানদণ্ড বিবেচনা করা হয়। জাতীয় স্তরে সাহিত্য একাডেমি ভাষা বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। তারা নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে কোনো ভাষা ধ্রুপদী কিনা তা নিয়ে সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেয়। মূলত পাঁচটি বিষয় এক্ষেত্রে দেখা হয়। ওই ভাষায় দেড় থেকে দুই হাজার বছরের ইতিহাস থাকতে হবে, প্রজন্মের পর প্রজন্মজুড়ে সেই ভাষায় কথা বলা বা লেখার ইতিহাস থাকতে হবে, পদ্য ও গদ্য লেখার চল থাকতে হবে এবং শিলালিপি বা ওই ধরনের কোনো প্রমাণ থাকতে হবে, এই ভাষা ও সাহিত্যের বিবর্তন হতে হবে এবং আগের ভাষার সঙ্গে বর্তমান ভাষার যোগসূত্র থাকবে।
সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'বাংলার অনেকদিন আগেই এই মর্যাদা পাওয়া উচিত ছিল। সংস্কৃত, দক্ষিণ ভারতীয় ভাষা, ওড়িয়া এই সম্মান আগে পেয়েছে। মনে করা হয় মাগধী অপভ্রংশ থেকে বাংলা ভাষার জন্ম। হিন্দির পর বাংলাই সবচেয়ে বহুল প্রচলিত ভাষা।'
জেডএস/