আন্তর্জাতিক

সাহিত্যে নোবেল পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখিকা হান ক্যাং

বায়ান্ন প্রতিবেদন

ছবি: সংগৃহীত

এবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন দক্ষিণ কোয়িার লেখিকা হান ক্যাং। সাহিত্য জগতে অনবদ্য অবদান রাখায় এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে স্থানীয় সময় ১টা ও বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রয়্যাল সুইডশি একাডমে অফ সায়েন্সের সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর হ্যান্স এলেগ্রেন ২০২৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন। একাডেমির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। আগের বছর ২০২৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন নরওয়ের লেখক ও নাট্যকার ইয়োন ফসে।

ইয়োন ফসের লেখা নাটক ও সাহিত্যের প্রশংসা করে সুইডিশ একাডেমি বলেছে, তিনি তার লেখায় অনুচ্চারিত থেকে যাওয়া বহু কথা তুলে এনেছেন। ১৯০১ সালে সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার পান ফরাসি কবি ও প্রাবন্ধিক সুলি প্রুদোম (১৮৩৯-১৯০৭)।

পুরস্কার ঘোষণার সব তথ্য নোবেলপ্রাইজের ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি দেখা যাবে। এ বছরের নোবেল পুরস্কারের সমস্ত ঘোষণা nobelprize.org ও নোবেল পুরস্কার কমিটির ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

সংস্থাটি জানিয়েছে, হান ক্যাংকে তার ‘গভীর কাব্যিক গদ্যের’ জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। তার এসব সাহিত্যকর্মে পূর্বের যুগে সাধারণ মানুষের ওপর হওয়া অত্যাচার-নির্যাতন এবং মানবজাতির ভঙ্গুরতার বিষয়টি ওঠে এসেছে।

হান ক্যাং ১৯৭০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার গুয়াঞ্জুতে জন্মগ্রহণ করেন। ৯ বছর বয়স হওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে রাজধানী সিউলে চলে আসেন তিনি। তার পরিবারও সাহিত্যের সঙ্গে জড়িত ছিল। তার বাবা ছিলেন একজন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক। এছাড়া গান ও সংস্কৃতির প্রতিও নিজেকে মেলে ধরেছিলেন হান ক্যাং। যা তার সাহিত্যকর্মে ফুটে উঠেছে।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ান এই লেখিকার সবচেয়ে আলোচিত সাহিত্যকর্ম হলো (২০০৭; ‘দ্য ভেজেটেরিয়ান’, ২০১৫)। এটি তিন খণ্ডে লেখা হয়েছে। এটিতে এক নারীর গল্প তুলে আনা হয়েছে। যিনি মাংস খেতে অস্বীকৃতি জানানো পর কীভাবে তার স্বামী, বাবা এবং অন্যান্যদের দ্বারা নিগ্রহের শিকার হয়েছেন।

এএম/

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন পুরস্কার | নোবেল