বাংলাদেশ

ইতিহাসের প্রতি আমাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা

বায়ান্ন প্রতিবেদন

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম ছবি: সংগৃহীত

আমরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গঠন করতে চাচ্ছি। ফলে ইতিহাসের প্রতি আমাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নতুন জাতীয় দিবস যুক্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

আটটি জাতীয় দিবস বাতিলের সিদ্ধান্তের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ দল হিসেবে ফ্যাসিস্টভাবে ক্ষমতায় ছিল। মানুষের ভোটাধিকার হরণ ও গুম-খুন করে এবং গণহত্যা করে তারা ক্ষমতায় ছিল। কাজেই তারা কাকে জাতির পিতা বললো, তারা কোন দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করলো, নতুন বাংলাদেশে সেটার ধারাবাহিকতা থাকবে না।

তাহলে আমাদের কোনো জাতির পিতা থাকবে না, প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের এই ভূখণ্ডের লড়াইয়ের ইতিহাসে বহু মানুষের অবদান রয়েছে। আমাদের ইতিহাস কিন্তু কেবল ৫২-তেই শুরু হয়নি। আমাদের ব্রিটিশবিরোধী লড়াই আছে, ৪৭ ও ৭১-এর লড়াই আছে, ৯০ ও ২৪ আছে। আমাদের অনেক ফাউন্ডিং ফাদারস রয়েছেন। তাদের লড়াইয়ের ফলে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।

তিনি বলেন, ৭ মার্চ গুরুত্বপূর্ণ, তবে তা জাতীয় দিবস হওয়ার মত না। আওয়ামী লীগ অনেক দিবসকে নষ্ট করে ফেলেছে। তারা তো শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি তৈরি করে পূজাও করেছিল।

৭ মার্চ নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে না জানিয়ে নাহিদ বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান অবশ্যই জাতির জনক না। এই ভূখণ্ডে অনেকেরই ভূমিকা রয়েছে, লড়াই রয়েছে। ইতিহাসের বহুমুখীতা রয়েছে। আওয়ামী লীগ মাওলানা ভাসানীর অবদানকে অস্বীকার করেছে। তাই এখন সময় এসেছে সবার ভূমিকা স্মরণ করার।

এ উপদেষ্টা আরও বলেন, এতগুলো জাতীয় দিবস পালনের দরকার নাই। যেগুলো তাৎপর্যপূর্ণ সেগুলো রেখে, বাকিগুলো বাতিল করা হবে। এছাড়া, জুলাই ও আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে নতুন দিবসও যুক্ত হতে পারে। যেহেতু নতুন অভ্যুত্থান।

এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ইতিহাস | গণঅভ্যুত্থান