ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন শুধু খাবার কমিয়ে বা অতিরিক্ত পরিশ্রম করে। হয়তো সাময়িক ফল পাচ্ছেন, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে সেটি কতটা কার্যকর হচ্ছে না । বিশেষজ্ঞদের মতে মানুষের শরীরে এমন কিছু হরমোন থাকে, যেগুলো ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ না হলে ওজন নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ে।
চলুন জেনে নেই কীভাবে হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে ওজন কমানো সম্ভব-
ঘ্রেলিন হরমোন শরীরে ক্ষুধার সংকেত দেয়। দীর্ঘদিন ডায়েট করলে এই হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, যার ফলে ওজন কমানো কঠিন হয়। তাই ঘ্রেলিন নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত কার্ডিও ব্যায়াম, যেমন দৌড়ানো, সাইকেল চালানো বা সাঁতার কাটা, কার্যকর ভূমিকা রাখে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হলো লেপটিন, যা মস্তিষ্কে জানায়, কখন খাওয়া বন্ধ করতে হবে। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে এই হরমোন সঠিকভাবে কাজ করে না, ফলে খাওয়ার পরও ক্ষুধা অনুভূত হয়। লেপটিন হরমোন ঠিক রাখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যেমন, পেয়ারা, কমলা, ব্রকলি এবং বাদাম খাওয়া উচিত।
ইনসুলিন হরমোন শরীরে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট খেলে ইনসুলিনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় এবং ওজন বেড়ে যায়। তাই বেশি শাক-সবজি, ফলমূল খেতে হবে এবং ভাত, রুটি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার কম খেতে হবে।
রাতে শর্করাজাতীয় খাবার কম খাওয়া অ্যাডিপোনিকটিন হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এই হরমোন দেহের চর্বি ক্ষয় করে শক্তিতে রূপান্তর করে। এজন্য রাতের খাবারে শর্করা কমিয়ে মাছ, বাদাম, অ্যাভোকাডো ও অলিভ ওয়েল খেতে হবে।
আরেকটি হরমোন, গ্লুকাগন, শর্করা ও চর্বি ভেঙে শক্তিতে রূপান্তর করে। পর্যাপ্ত প্রোটিন খেলে এই হরমোনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মাছ, মাংস, সামুদ্রিক মাছ ও বাদাম প্রোটিনের ভালো উৎস।
এপিনেফ্রিন হরমোন মানসিক চাপ বা আবেগজনিত অবস্থায় ক্ষুধার অনুভূতি জাগায়। হিট ব্যায়াম, যেখানে ধীরে হাঁটার পর জোরে দৌড়াতে হয়, এই হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
হরমোন নিয়ন্ত্রণ করতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আপনার শারীরিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে চিকিৎসক আপনাকে সঠিক নির্দেশনা দিতে পারবেন।
জেডএস/