বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ বাংলাদেশের কাছে প্রায় ১০ হাজার ৮৬ কোটি টাকা পাওনা থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর)ভারতের ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশকে গড়ে মাত্র ৫৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।
জানা যায়, ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় অবস্থিত এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আদানি গোষ্ঠী বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। গতকাল বিদ্যুৎ সরবরাহ কমালেও। বুধবার পর্যন্ত দিনে গড়ে এক হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো।
সম্প্রতি আদানি পাওয়ার (ঝারখণ্ড) লিমিটেডের প্রতিনিধি ও যৌথ সমন্বয় কমিটির সভাপতি এম আর কৃষ্ণ রাও এক চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিসি) বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে ১৭০.০৩ মিলিয়ন ডলারের জন্য প্রয়োজনীয় এলসি প্রদান করেনি এবং ৮৪৬ মিলিয়ন ডলারের (১০,০৮৬ কোটি টাকা) বকেয়াও শোধ করেনি।
সময়মতো এলসি না দেয়া এবং বকেয়া পরিমাণ পরিশোধ না করার ফলে পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্টের আওতায় ম্যাটেরিয়াল ডিফল্ট ঘটেছে, যা আদানি পাওয়ারের সরবরাহ বজায় রাখতে বাধা দিচ্ছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বহু বকেয়া পরিশোধ ও এলসির অভাবে প্রতিষ্ঠানটি কয়লা সরবরাহকারী এবং অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ কন্ট্রাক্টরদের জন্য কাজের মূলধন নিরাপদে রাখতে পারছে না। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির ঋণদাতারাও সহায়তা প্রত্যাহার করছে।
চিঠিতে বিপিডিসিকে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখের মধ্যে এই ডিফল্টগুলো সমাধানের আহ্বান জানায় আদানি গ্রুপ। অন্যথায় ৩১ অক্টোবর ২০২৪ থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হতে পারে বলে জানানো হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত আদানির বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি। এ কারণে কেন্দ্রটির কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।
জানা যায়, গতকাল পর্যন্ত আদানির বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি। এদিকে বর্তমানে দেশীয় কয়লাভিত্তিক তিন বিদ্যুৎকেন্দ্র—এস আলম, রামপাল ও পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানো হয়েছে, যার ফলে বর্তমানে চাহিদার তুলনায় সরবরাহে এক হাজার মেগাওয়াটের বেশি ঘাটতি থাকছে।
আই/এ