নৌকা নিয়ে নদীতে নেমে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা। কেউ মেরামত করছেন নৌকা। কেউ বুনছেন জাল। কেউ করছেন নৌকা ধোয়া-মোছার কাজ। বড় বড় ফিশিং ট্রলারগুলো নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার নিয়ে নিচ্ছেন ট্রলারে। ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করতে সাগরে মাছধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ রোববার (০৩ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে। রাত ১২টার পর সবাই নদীতে নেমে পড়বেন মাছ শিকারে।
ইতিমধ্যে জাল, ট্রলার, নৌকাসহ মাছ ধরার সরঞ্জাম মেরামত করে সব প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। এখন শুধু অপেক্ষা নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা শেষ হওয়ার।
জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মা ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে গেলো ১২ অক্টোবর রাত ১২টা থেকে এ নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়, যা চলবে আজ ৩ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত। এই ২২ দিন ধরেই অপেক্ষার প্রহর গুনছেন উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেরা।
মৎস্যবিভাগ বলছে, অভিযান সফল হওয়ায় এবার ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশ পেলে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে জেলে পরিবারগুলো।
মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ২২ দিনের অবরোধ সফল করতে তৎপর ছিলেন মৎস্য বিভাগসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সাগর ও নদীতে অভিযান চালিয়ে অনেক জেলেকে জরিমানা ও কারাদণ্ড দিয়েছে মৎস্য বিভাগ। তাই সাগরে গিয়ে এবার ধরা পড়বে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ এমনটি প্রত্যাশা।
জেলেসহ মৎস্যজীবীদের আশা, এবার তাদের জালে ধরা পড়বে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। তবে নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে সরকারি প্রণোদনার চাল অনেক জেলে পাননি বলে দাবি তাদের। এ ছাড়া মৌসুম জুড়ে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা না পড়ায় ২২ দিনে কর্মহীন অনেক জেলে ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছেন। তবে এবার কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ মাছ ধরা পড়লে ধার-দেনা পরিশোধ করে ঘুরে দাড়াতে পারবেন আশা তাদের।
এসি//
