যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠায় অপমান সইতে না পেরে ফাঁসিতে ঝুলে নুরুল ইসলাম (৫৫) নামের এক স্কুলশিক্ষক আত্মহত্যা করেছেন বলে তার স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কৈয়াদী গ্রামের নিজ বাড়ির রান্নাঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন।
নিহতের মেয়ে নিপা আক্তার জানান, স্থানীয় মোস্তফা কামাল ও ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে তার বাবার কাছে টাকা দাবি করে আসছিলেন। টাকা না দেওয়ায় নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করতে না চাওয়ায় তারা হাইস্কুলের শিক্ষার্থী এনে পরিকল্পিতভাবে তার বাবার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করিয়েছে। এসব মিথ্যা অপবাদ ও হুমকি-ধমকির কারণেই তার বাবা আত্মহত্যা করেছেন বলেও তিনি দাবি করেন।
অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে মোস্তফা কামাল বলেন, নুরুল ইসলামের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল। কেউ যদি তার নাম উল্লেখ করে থাকে, তবে সেটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে তিনি মনে করেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মোরাদ হোসেন খান বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও নির্দিষ্ট ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনা হয়নি। প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী দাড়িপাকা উচ্চবিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলা হয়েছে এলাকাবাসীর আবেদনপত্রে।
ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) দ্বিতীয়বার তদন্তের জন্য তার বিদ্যালয়ে থাকার কথা ছিল। কিন্তু সকালেই জানতে মেরেছেন তিনি মারা গেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আই/এ