রাজধানীর বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় কমেছে বেশিরভাগ সবজির দাম। তবে, তেল, আলু ও চালের বাজারে এখনও টানাপোড়েন চলছে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা যায়, শীতের সবজির দাম কিছুটা কমেছে। গাজর, টমেটো, শিম, শসাসহ বেশিরভাগ সবজির দাম এখন ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। বেগুন, করলা, ঢ্যাঁড়শের মতো সবজির দামও নাগালের মধ্যে, ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। তবে, পুরোনো আলুর দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে, যা ক্রেতাদের জন্য একটি অস্বস্তির কারণ।
ব্যবসায়ীরা জানান, শীতকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে, তাই দাম কিছুটা কমেছে। তবে, নতুন আলু না আসা পর্যন্ত পুরোনো আলুর দাম বাড়তেই থাকবে। এক ক্রেতা, রোকন, বলেন, 'সবজির দাম কিছুটা কমেছে, তবে আলু অনেকটাই বেশি। বাজারে মনিটরিং করা হলে দাম কমানো যেতে পারে।'
এদিকে, মাছের বাজারেও কিছুটা স্বস্তি এসেছে। পাঙাশ, তেলাপিয়া এবং রুই মাছের দাম এক সপ্তাহে ১০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। পাঙাশ এখন ১৭০-১৮০ টাকায়, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকায়, এবং রুই ২৭০-২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দামও কিছুটা কমেছে; ব্রয়লার এখন ১৮০-১৯০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি ২৯০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে, চালের বাজার এখনও চড়া। মোটা চাল ৫২-৫৫ টাকা এবং চিকন চাল ৬৮-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাসে প্রায় ২.৭৮ শতাংশ বেড়েছে। চাল বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, আমন ধান ওঠা শুরু হলে দাম কমতে পারে। তবে, এক কেজি মিনিকেট চাল এখন ৭০-৭২ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও খোলা সয়াবিন এর মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি লিটার ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে পামওয়েল ১৩৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি লিটার ১৭৮-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজির, মাংসের এবং মাছের বাজারে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও চালের বাজারে এখনও অস্বস্তি রয়েই গেছে, যা অনেকের জন্য বাড়তি চিন্তার কারণ।
জেডএস/