আন্তর্জাতিক

যাত্রীবাহী গাড়িবহরে বন্দুকধারীদের হামলা, নিহত ৪২

বায়ান্ন আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলার পারাচিনার হাসপাতালে হতাহতদের স্বজনদের ভিড় ছবি: এপি

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িবহরে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। আহতদের অনেকের অবস্থা  গুরুতর হওয়ায় নিহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার(২১ নভেম্বর) পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলায় এই বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি ও সংখ্যালঘু শিয়া মুসলমানরা  প্রায়ই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।  সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষে কয়েক ডজন  নিহত হয়েছেন। তবে বৃহস্পতিবার বন্দুক হামলার ঘটনার দায় কেউ স্বীকার করেনি।   

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রাদেশিক পুলিশ বলছে, পারাচিনার থেকে পেশোয়ার যাওয়ার পথে গাড়িবহরে হামলা হয়। আহতদের অ্যাম্বুলেন্সে করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য  জেলা শহরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৈয়দা বানু নামে এক যাত্রী জানান, হঠাৎ গুলি শুরু হলে তিনি তার সন্তানদের নিয়ে গাড়ির আসনের নিচে লুকিয়ে থাকেন। তাৎক্ষণিক এ সিদ্ধান্ত তাদের প্রাণে বাঁচায়। গুলির শব্দ থেমে যাওয়ার পর তিনি দেখতে পান রাস্তায় ও গাড়ির ভেতর আহত ও নিহত মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

এদিকে, প্রাথমিক তদন্তের পর ঘটনার বিবরণ দিয়ে প্রাদেশিক আইনমন্ত্রী  আফতাব আলম পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিওনিউজকে বলেছেন, এ ঘটনার পেছনের কুশীলবদের শনাক্তে তদন্ত চলছে। সশস্ত্র ব্যক্তিরা পাহাড় থেকে গাড়িবহর লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলেও তিনি জানান।

আইনমন্ত্রী আফতাব আলম আরও জানান, দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের মধ্যে বিরোধের কারণে কুররাম জেলার দিকে যাওয়ার রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেওয়ায় তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে পারেননি। ওই দুই গ্রুপ একে অপরকে ঘটনার জন্য দায়ী করছে। তারা উভয়ই সন্ত্রাসী দল। প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে বলেও তিনি জানান।

এমআর//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বন্দুক হামলা