যুক্তরাষ্টের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নতুন মন্ত্রিসভা গঠন শেষ করেছেন। শনিবার (২৩ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কৃষিমন্ত্রী হিসেবে ব্রুক রলিন্সকে মনোনয়ন দেয়ার মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের ১৫ সদস্যের মন্ত্রিসভা পূর্ণ হলো। এই মন্ত্রিসভায় রয়েছেন নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে বিভিন্ন পেশা ও অভিজ্ঞতার বৈচিত্র্যময় ব্যক্তিরা। তাদের সকলের নিয়োগ চূড়ান্ত করতে প্রয়োজন হবে মার্কিন সিনেটের অনুমোদন।
রোববার (২৪ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
১৫ সদস্যের মন্ত্রিসভায় যারা রয়েছেন-
পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মার্কো রুবিও। চীন ও রাশিয়ার সমালোচক এই কিউবান বংশোদ্ভূত নেতা যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতির সমর্থক।
অর্থমন্ত্রী: স্কট ব্যাসেন্ট। ওয়াল স্ট্রিটের অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী।
বাণিজ্যমন্ত্রী: হওয়ার্ড লাটনিক। ওয়াল স্ট্রিটে দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ধনকুবের।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী: পিট হেগসেথ। ফক্স নিউজের উপস্থাপক এবং ন্যাশনাল গার্ডের সাবেক সদস্য।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: ডগ বারগাম। নর্থ ডাকোটার গভর্নর এবং সফল ব্যবসায়ী।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী: ক্রিস্টি নোয়েম। সাউথ ডাকোটার গভর্নর এবং করোনা নীতিতে আলোচিত।
অ্যাটর্নি জেনারেল: পাম বন্ডি। ফ্লোরিডার সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী: রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র। স্বাস্থ্য নীতিতে বিতর্কিত, কিন্তু দীর্ঘদিনের কর্মী।
পরিবহনমন্ত্রী: সোন ডাফি। সাবেক কংগ্রেস সদস্য।
শ্রমমন্ত্রী: লোরি শাভেজ-ডিরেমার। ট্রেড ইউনিয়নগুলোর সমর্থন রয়েছে তাঁর প্রতি।
কৃষিমন্ত্রী: ব্রুক রলিন্স। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং নীতিনির্ধারণী দক্ষতায় প্রশংসিত।
জ্বালানিমন্ত্রী: ক্রিস রাইট। জীবাশ্ম জ্বালানির প্রবক্তা।
শিক্ষামন্ত্রী: লিন্ডা ম্যাকমোহন। ডব্লিউডব্লিউই-এর সাবেক নির্বাহী।
ভেটেরানস অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী: ডগ কলিন্স। ইরাক যুদ্ধের অভিজ্ঞ আইনজীবী।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, এই মন্ত্রিসভা দেশকে অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করবে । মার্কিনিদের স্বার্থ রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত করতে তিনি তাদের নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন।
জেডএস/