শ্বেতপত্র কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, দেশের ১০ শতাংশ মানুষ দেশের ৮৫ শতাংশ সম্পদ ভোগ করেছেন।’ ‘বাংলাদেশে উন্নয়ন বাজেটের ৪০ শতাংশ অর্থ তছরুপ হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে শ্বেতপত্র কমিটির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, শ্বেতপত্রে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দোষ খোঁজা নয়, দুর্নীতির পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই কমিটির কাজ চোর ধরা না, চুরির প্রক্রিয়া বর্ণনা করা।
তিনি বলেন, ৯০ দিনে তারা ১৮ বার সভা করেছেন। নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে ২২ বার সভা করেছেন। তাদের প্রথম সভা ছিল ছাত্রদের সঙ্গে।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ১২ জন নামজাদা অর্থনীতিবিদ নিয়ে শ্বেতপত্র কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির প্রত্যেক সদস্য বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করেছেন। বিদেশি পরামর্শক এনে শ্বেতপত্র করা হলে অন্তত ২৫ কোটি টাকা খরচ হতো। দেশের জন্য নিঃস্বার্থ অবদান হিসেবে কমিটি এটি করেছে। জনমানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বজায় রেখে এই পত্র তৈরী করা হয়েছে।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান বলেন, আগামী ১ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গভাবে এটি ছাপিয়ে প্রকাশ করা হবে। এটিকে সরকার নিজস্ব দলিল হিসাবে স্বীকার করে নিয়েছে।
এর আগে গতকাল শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি তিন মাসের অনুসন্ধান শেষে তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করে।
কমিটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী সরকারের সময়ে গড়ে প্রতি বছর ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিংবা প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি প্রতিটি খাতে লুটপাট ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেছে।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গেলো ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। পরে সেই মাসের ২৮ তারিখ দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরতে অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটিকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
এসি//