ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, প্রাপ্ত তথ্য চূড়ান্তভাবে প্রমাণ করে যে বিক্ষোভকারীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রধান ফটক ভেঙে প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে হামলা চালিয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে একটি বিবৃতি দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে সোমবার ভোরে স্থানীয় হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির বিক্ষোভকারীদের একটি বড় দল দ্বারা হিংসাত্মক বিক্ষোভ ও আক্রমণে বাংলাদেশ সরকার ক্ষুব্ধ।
প্রাপ্ত তথ্য চূড়ান্তভাবে প্রমাণ করে যে, বিক্ষোভকারীদের পূর্ব পরিকল্পিত উপায়ে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রধান ফটক ভেঙে প্রাঙ্গণে আগ্রাসনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এ প্রক্রিয়ায় স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে তারা পতাকার খুঁটি ভাঙচুর করে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করে এবং সহকারী হাইকমিশনের অভ্যন্তরের সম্পত্তিও ক্ষতিগ্রস্ত করে।
দায়িত্বে থাকা স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা শুরু থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ছিল না উল্লেখ করে মন্ত্রণালয় জানায়, সহকারী হাই কমিশনের সব সদস্য গভীর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। গত ২৮ নভেম্বর কলকাতায়ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের ওপর এই ধরনের জঘন্য হামলা এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়।
আগরতলার এই ঘটনা ১৯৬১ সালে ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে। যেহেতু কূটনৈতিক মিশনগুলোকে যে কোনো ধরনের অনুপ্রবেশ বা ক্ষতি থেকে রক্ষা করা স্বাগতিক সরকারের দায়িত্ব, তাই বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার জন্য আহ্বান জানায়। একই সঙ্গে ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধ, কূটনীতিক, অ-কূটনৈতিক সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানায়।
আই/এ