বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে স্পিডবোটের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষে নিখোঁজ তিন যাত্রীর সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। সংঘর্ষে জালিস মাহমুদ নামে এক যাত্রী নিহত হন।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বরিশাল নৌ সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কীর্তনখোলা নদীর লাহারহাট খালের প্রবেশমুখ জনতার হাট এলাকায় লাহারহাট থেকে বরিশালগামী ওই স্পিডবোটের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। এসময়ে স্পিডবোটে ১১ জন যাত্রী ছিলেন।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হচ্ছেন– ভোলার উত্তর চর ভেদুরিয়া এলাকার বাসিন্দা স্পিডবোটচালক আল আমিন, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নোওয়াপাড়া রাসেল আমিন (২৫) এবং বাবুগঞ্জের রহমতপুরের সজল দাস (৩০)।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, শুক্রবার এবং শনিবার সকাল-সন্ধ্যা ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে। ডুবে যাওয়া স্পিডবোট উদ্ধার করা সম্ভব হলেও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। জোয়ার-ভাটার কারণে ওই স্থান থেকে নিখোঁজদের দূরবর্তী কোনও জায়গায় যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এসআই ওমর ফারুক জানিয়েছেন, এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে সদর নৌ-থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় গ্রেপ্তারকৃত বাল্কহেড চালক খালেক মাঝিসহ দুইজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আই/এ