দীর্ঘদিনের মিত্র দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ‘পুনঃমূল্যায়ন’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এর আগে পেট্রোলিয়াম উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় রিয়াদসহ তেল উৎপাদনকারী বড় একটি গ্রুপ।
বুধবার (১২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তের পর উপসাগরীয় দেশটির কঠোর সমালোচনা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতারা।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, মার্কিন আইন প্রণেতাসহ বিদেশি মিত্রদের সঙ্গে পরামর্শ করে সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ‘পর্যালোচনা’ করা হচ্ছে। সবকিছু সুক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করে অংশীদার এবং স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গেও কথা বলা হবে।
তিনি আরও বলেন যে, এর আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেন সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনরুদ্ধারের’ প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলেন। তবে সম্প্রতি তেল উৎপাদন হ্রাসের ঘোষণার পর রিয়াদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক একরকম তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
বহু আগে থেকেই সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্রের দুধেল গাই হিসেবে দেখা হয়। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে নিজেদের স্বার্থে সৌদিকে হরহামেশাই ব্যবহার করে আসছে মার্কিনীরা। তবে চলমান উত্তেজনার মধ্যে সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিভিন্ন ইস্যুতে দেশটির ওপর চড়াও হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এর আগে সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সৌদি যা করেছে, সেজন্য দেশটির কিছু হতে চলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আভাস দেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের পর কংগ্রেসে অধিবেশন শুরু হবে। সেসময়ই সৌদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ্বজুড়ে তেলের দাম কম রাখতে এবং ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অর্থ জোগান বন্ধে তেলের উৎপাদন বাড়ানোর অনুরোধ করে হোয়াইট হাউস। তবে তাদের অনুরোধ উপেক্ষা করে গত সপ্তাহে দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল জ্বালানি পণ্যটি উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় ওপেক প্লাস। রাশিয়া ও সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের এ সিদ্ধান্তেই মূলত ক্ষেপেছেন বাইডেন।
অনন্যা চৈতী