বড় ধরনের দুর্নীতিবাজ- যাদের কারণে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের ছাড় দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নতুন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দুদকে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
আজ বেলা ৩ টার পর আবদুল মোমেন রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আসেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, যেসব বিষয়ে বড় ধরনের দুর্নীতি হয়েছে, রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; এ কাজগুলো যারা করেছেন তারা যেন শেষ পর্যন্ত ছাড় না পান; সেটা আমরা যথাযথভাবে করার চেষ্টা করব। শেষ পর্যন্ত যাতে এমন না হয়, রাজনৈতিক কিংবা অন্য কোনো মতাদর্শে প্রভাবিত হয়ে কাজ না করি সেটা আমরা লক্ষ্য রাখব। জনপ্রত্যাশা ও রাষ্ট্রের যে প্রত্যাশা; আমরা খানিকটা হলেও তা পূরণ করতে পারব।
গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের নতুন জন্ম হয়েছে বলে উল্লেখ করেন আবদুল মোমেন। বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা যে বাংলাদেশে এসেছি, সেই বাংলাদেশের নবজন্ম ৫ আগস্টে হয়েছে। ৫ আগস্টের বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও এর পরবর্তী বাংলাদেশের প্রত্যাশা এক নয়। যে আন্দোলন থেকে বাংলাদেশের সৃষ্টি, সেটি বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ। ৫ আগস্টের পরবর্তী বাংলাদেশে আমরাও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার রেখে কাজ শুরু করেছি। আপনাদের ও আমাদের ভূমিকা একই।’
নতুন এই দুদক চেয়ারম্যানের ওপর দুর্নীতির বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। সেসব প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যে অভিযোগগুলো আছে সেইগুলো দুদকে এসেছে ২০০৯ সালে। ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এর ওপর বহু তদন্ত হয়েছে। ২০২৩ সালে অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়নি, তার প্রত্যয়ন দুদকই করেছে। এটা কিন্তু ৫ আগস্টের পরে নয়, আরও অনেক আগে। ২০০৯ সালের তদন্ত যদি ২০২৩ সালে শেষ হয় এটাই তো হয়রানি।
এম এইচ//