একটি রাজনৈতিক কারণকে কেন্দ্র করে আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে যে একটা মেঘ এসেছিলো। আমাদের দুই দেশের স্বার্থেই সেই মেঘকে সরাতে হবে এবং সে প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে গুলশানে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের সচেতনতা বৃদ্ধি ও গাড়ি চালকদের পুনঃ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের দেশে সাম্প্রতিক আন্দোলনের প্রভাব আমরা অস্বীকার করতে পারি না’।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালিয়ে আগামী মাসের মধ্যে নীরব ১০ টি এলাকা ঘোষণা করা হবে। হর্ন বাজালে তাকে জেলে পাঠানো সমাধান না। নিজের মধ্যে পরিবর্তন করে সমাধান আনতে হবে। গাড়ির গতি কমালে যেমন দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমে তেমনি হর্ণও বাজানোর দরকার হয় না। জনদূর্ভোগ হয়তো কিছুটা কমানো যাবে কিন্তু বায়ুর মান খুব দ্রুত নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, চালকদের প্রশিক্ষণের জন্য রাজধানীর প্রত্যেকটি সোসাইটিকে সহযোগিতা করবে পরিবেশ অধিদপ্তর। শব্দ দূষণের কারণে ট্রাফিক পুলিশদের কাজ করাও দুঃসহ হয়ে পড়ছে।
তিনি আরও বলেন, শিগগিরই শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে। এটি শব্দদূষণ প্রতিরোধ এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় আইনগত ব্যবস্থা দৃঢ় করবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ৫৩ বছরেও নির্বাচিত রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ করতে পারেনি। সেজন্যই অন্তর্বর্তী সরকারকে সংস্কার কাজে হাত দিতে হয়েছে। নির্বাচন কবে হবে তা ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকার, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান, গুলশান সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ওমর সাদাত প্রমুখ।
আই/এ