আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সবচেয়ে গৌরবের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙ্গালী জাতি চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।
৫৩তম এই বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপ্রতি, প্রধান উপদেষ্টা, দেশ বিদেশের গূরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ পুরো জাতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে স্মরণ করবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।
আর এ লক্ষ্যে প্রস্তত করা হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। স্মৃতিসৌধ চত্বরে ধোয়া-মোছার কাজ চলমান, সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বাহারি রংয়ের ফুলের চারা রোপন করা হয়েছে। স্মৃতিসৌধের সিঁড়িতে ও গূরুত্বপূর্ণ স্থানে পরছে রং -তুলির আঁচর।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, সৌধ চত্বরের চারপাশে কয়েকশো টবে শোভা পাচ্ছে নানা ধরনের ফুল আর পাতা বাহারের গাছ। নিরাপত্তার জন্য ওয়াচ টাওয়ার, উচ্চ মাত্রার সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনী ডগ স্কোয়াড দিয়ে প্রতিটি স্থান তল্লাশি করছে।
১৬ ডিসেম্বর ৫৩তম মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপরেই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে লাখো মানুষের ঢল নামবে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে।
গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বায়ান্ন টিভি’কে বলেন, মহান বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দসহ লাখো মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এজন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধকে একমাস যাবৎ আমাদের প্রায় দেড়শো কর্মী ও দুটো প্রেশার মেশিন দিয়ে ধুয়ে-মুছে পরিস্কার ও রঙ তুলির আঁচড় এবং নানা রঙের ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি ১৬ডিসেম্বর স্মৃতিসৌধে আগত সকল দর্শনার্থীর সর্বোচ্চ নিরাপত্তাসহ ও যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এখানকার পুলিশ ও আনসার ক্যাম্পকে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক অবস্থানে রাখা হয়েছে। আমাদের আশা ১৬ ডিসেম্বর সকলেই একটি সুন্দর এবং উপভোগ্য বিজয় দিবস উদযাপন করতে পারবেন।
নিরাপত্তার বিষয়ে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মহান বিজয় দিবসে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা মন্ডলের সদস্য, রাষ্ট্রের গূরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন কুটনৈতিক মিশনের প্রধানগনসহ সকলে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান মহান মুক্তিযুদ্ধ আত্মোৎসর্গকারী শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সকলের নিরাপত্তার লক্ষে কঠোরভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এম এইচ//