সংস্কার নিয়ে জনৈক উপদেষ্টার উক্তির সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এটি অহংবোধের অভিব্যক্তি।একজন উপদেষ্টা বলেছেন ৫০ বছরে রাজনৈতিক দলগুলো কিছুই করতে পারেনি, আমরা করছি। তাহলে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এবং ২৪-এর সফলতা কে এনেছে?
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল মহানগর উত্তরের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, একটি রাষ্ট্রকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যাওয়ার যে সংস্কার— এই সংস্কারতো মনীষীরা চিন্তা করেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোই সেটা বাস্তবায়ন করেছে। প্রকৃত সংস্কার করলে গণতন্ত্রের যে অপরিহার্য অংশ নির্বাচন, আইনের শাসন, বিচার বিভাগ এগুলোর সংস্কার তো বিলম্ব হওয়ার কথা না।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল গড়ে উঠে গণস্বার্থকে কেন্দ্র করে। ছাত্রজনতার অভ্যত্থানে ৫ আগষ্টের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার দেশের জন্য কাজ করার চেষ্টা করছেন। আমরা সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। আবার অনেক কাজের সমালোচনাও করছি। সমালোচনা মানে এই নয় যে- আমরা এ সরকারের বিরোধীতা করছি,পতন দাবি করছি’।
উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘অগ্রগতি যে একেবারে হয়নি আমরা তা বলছি না। আমরা এখন বক্তৃতা করে বাসায় যেতে পারছি। আমাদেরকে এখন পুলিশ ধরছে না, গোয়েন্দা পুলিশ খুঁজছে না, হ্যাঁ এটা হয়েছে। এ ধরনের কথা আপনারা বললে মানুষ অন্যকিছু ভাববে— ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিনের পুনরুত্থান হবে’।
সরকার এখনও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি উল্ল্যেখ করে এ বিএনপি নেতা বলেন, পতিত স্বৈরশাসকের বাজার সিন্ডিকেট বর্তমান সরকার ভাঙতে পারেনি। তাদের চিহ্নিত করুন, মধ্যসত্ত্বভোগীদের আইনের আওতায় আনুন। রাস্তায় রাস্তায় এখনও গাড়িতে চাঁদাবাজি করছে। বিএনপি এসব বন্ধের চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু বন্ধ করতে পারবে না। এর দায়িত্ব সরকারের। সরকার এসব প্রতিহত করার চেষ্টা করলেও উদ্যম কম। জনগণ যদি আগের চেয়ে স্বস্তিতে থাকতে না পারে, তাহলে হতাশ হবে।
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।
আই/এ