আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক মিসাইল কর্মসূচির সাথে জড়িত চারটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বুধবার এক বিবৃতিতে এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গণবিধ্বংসী অস্ত্র এবং তাদের সরবরাহের উপায়গুলোকে লক্ষ্য করে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।    

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া ও এনডিটিভি’র প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে। 

ম্যাথিউ মিলার বলেন, 'পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক মিসাইল কর্মসূচি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবসময় উদ্বিগ্ন। আজকে, পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে অবদান রাখছে এমন চারটি প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। আমরা এ ব্যাপারে পাকিস্তানের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কথা বলব।' 

নতুন এই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পাওয়া চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিরক্ষা সংস্থা জাতীয় উন্নয়ন কমপ্লেক্স, এনডিসি রয়েছে। বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো- করাচিভিত্তিক আখতার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট, অ্যাফিলিয়েলটস ইন্টারন্যাশনাল এবং রকসাইড এন্টারপ্রাইজ। এই তিনটি প্রতিষ্ঠান এনডিসি’র সঙ্গে মিলে পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক মিসাইল বানানোর বিভিন্ন উপকরণ সরবারহ করে আসছে। 

বুধবার বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, পাকিস্তানের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল কর্মসুচি আরও বিস্তৃত করতে ইসলামাবাদভিত্তিক রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কমপ্লেক্স (এনডিসি) বিভিন্ন ধরনের উপকরণ সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা ও উৎক্ষেপণের জন্য গাড়ির বিশেষ ধরনের চ্যাসিস। যুক্তরাষ্ট্র মুল্যায়ন করেছে যে, এনডিসি, শাহীন সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রসহ পাকিস্তানের দূরপাল্লার বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র বানাতে দায়ী। উল্লেখ্য, শাহীন ক্ষেপণাস্ত্র পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম।  

মার্কিন এই নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও সত্ত্বার অন্তর্গত যেকোনও সম্পত্তি জব্দ করা হবে। একইসঙ্গে আমেরিকানরাও এখন থেকে আর এসব সংস্থার সাথে ব্যবসা করতে পারবেন না বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে মার্কিন এই পদক্ষেপকে দুর্ভাগ্যজনক এবং পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিহিত করেছে। এছাড়া সামরিক অসামঞ্জস্যকে জোরদার করার লক্ষ্যে আরোপ করা এই নিষেধাজ্ঞা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ক্ষতি করবে বলে মত দিয়েছে ইসলামাবাদ। 

 

এনএস/ 

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন পাকিস্তানের