দুই সপ্তাহেরও কম সময় আগে সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতন হয়। আসাদের নাটকীয় পতনের পর দেশটির বর্তমান কর্ণধার বিদ্রোহী নেতা আল জুলানি। আসাদকে হটাতে মুখ্য ভূমিকা পালনকারী বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম, এইচটিএস’র নেতা তিনি। আর বিদ্রোহী এই নেতার নেতৃত্বে আগামীর সিরিয়া কী রকম হবে, তা নিয়ে পুরো বিশ্বে চলছে আলোচনা।
আর এই আলোচনার মধ্যেই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছে জুলানি, যিনি আহমেদ আল-সারা নামেও পরিচিত। সাক্ষাৎকারে জুলানি জানিয়েছে, সিরিয়া প্রতিবেশী কোনো দেশ কিংবা পশ্চিমা বিশ্বের জন্য মোটেও হুমকি নয়। তিনি সিরিয়ার ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি করেছেন।
এছাড়া জুলানি তাঁর দল এইচটিএসকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এইচটিএস আল কায়েদা থেকে বিভক্ত হয়ে আসা একটি গোষ্ঠী। সংগঠনটির ওপর জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
বিবিসিকে জুলানি আরও জানিয়েছেন, এইচটিএস কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নয়। এইচটিএসের যোদ্ধারা কখনো বেসামরিক মানুষ হত্যা করেনি। এছাড়া সিরিয়াকে আফগানিস্তান বানানোর চেষ্টা চলছে, এমন অভিযোগের বিষয়ে জুলানি বলেন, দুটি দেশ সম্পূর্ণ ভিন্ন। দুই দেশের ঐতিহ্য আলাদা। তিনি নারী শিক্ষায় বিশ্বাসী।
এছাড়া সিরিয়ায় মদপান বৈধ করা হবে কী না এমন একটি প্রশ্ন করেন বিবিসির সাংবাদিক। উত্তরে জুলানি জানিয়েছেন, অনেক বিষয় আছে জেগুলোতে কথা বলার অধিকার তাঁর নেই। আইন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। তারা নতুন সংবিধান প্রনয়ন করবে। সিরিয়ার শাসক ও প্রেসিডেন্ট যেই হোক না কেনো, তাদের এই সংবিধান মেনে চলতে হবে।
এনএস/