বান্দরবানে বসবাসকারী খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ত্রিপুরাপল্লিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত গুঙ্গামনি ত্রিপুরা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। জমি নিয়ে বিরোধ ও চাঁদা না দেয়ায় এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ কাউছার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, লামা উপজেলায় দুইটি পাড়া রয়েছে। টংঙ্গা ঝিড়ি ও সফি চন্দ্র পাড়ায় বসবাস করে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের খ্রিস্টান ধর্মালম্বীরা। পূর্বে সফি চন্দ্রপাড়ার ইব্রাহীম নামে একজন এই জায়গার দেখাশোনা করতেন। পাশাপাশি সফি চন্দ্রপাড়ায় বসবাসরত ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের লোকজনও সেখানে বসবাস ও দেখাশোনা করতেন।
পুলিশ সুপার জানান, ৬ মাস আগে তারা এই জায়গা থেকে চলে গেলে টংঙ্গা ঝিরির ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে বসবাস করতে শুরু করেন।
টংঙ্গা ঝিরি পাড়ার বাসিন্দা ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত গুঙ্গামনি ত্রিপুরা অভিযোগ করেন, পূর্বে যারা এই জায়গায় ছিলেন তারা ঘরগুলো পুড়িয়ে দিয়েছেন। এর আগে বিভিন্ন সময়ে তারা চাঁদা দাবি করেন।
বিরোধের বিষয়ে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের দুইটি পাড়ায় বসবাসকারী জনসাধারণের মধ্যে বিরোধের জেরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাস্থল পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বাগান বলে লোকমুখে প্রচলিত আছে। তবে এই সম্পর্কিত কোনো তথ্য, প্রমাণ ও নথি প্রশাসনের হাতে আসেনি।
তিনি জানান, জায়গা সম্পর্কিত মামলার কার্যক্রম শুরু হলে তখন জায়গার দখল বেদখল নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে দ্বন্দ্ব শুরু হয়, তবে এ জন্য ঘর পোড়ানোর ঘটনা খুবই দুঃখজনক। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজন হলে পুনর্বাসনের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ইব্রাহিম, স্টিফেন ত্রিপুরা, মসৈনিয়া ত্রিপুরা ও যোয়াকিম ত্রিপুরা নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার সঙ্গে আরও কারা জড়িত তা উদঘাটনে তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
আই/এ
