কোন নিয়ম মানলে জয় পাবে ঢাকা? প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিটাগাং কিংসের বিপক্ষে ৭ উইকেটে পরাজিত হয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান করে ঢাকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩ বল বাকি থাকতেই সহজ জয় পায় চিটাগাং। এতে প্রথম ম্যাচ হারের পর টানা ২ ম্যাচ জয় পেলো দলটি।
চিটাগাংয়ের পক্ষে ব্যাট হাতে শামীম হোসেন ১৪ বলে ৩০ রানে ও মোহাম্মদ মিঠুন ২২ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ঢাকার লড়াকু সংগ্রহ বেশ সহজেই মোকাবেলা করে চিটাগাং। পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাটে ইনিংস বড় হয়নি। কিন্তু আরেক ওপেনার উসমান খান ঠিকই তার কাজ করেছেন। ৩৩ বলে ৫৫ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। এর ইংলিশ ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্ক দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন। তার সঙ্গে পরবর্তীতে যুক্ত হয়েছেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন।
ক্লার্ক ও উসমান মিলে ৫১ রানের জুটি গড়ার পর। ক্লার্কের সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি গড়েন মিঠুন।
ব্যক্তিগত ৩৯ (৩২) রানে ক্লার্ক ফিরলেও ক্রিজে ছিলেন মিঠুন। তার সঙ্গে যোগ শামীম হোসেন। এই দুই ব্যাটার মিলে দলকে সহজ জায়গায় এনে দেন। বিশেষ করে শামীমের ব্যাটে তখন রানের ফোয়ারা ছুটছে। মোস্তাফিজুর রহমানকে দুই বাউন্ডারি হাঁকানোর পরের ওভারে মোসাদ্দেক হোসেনের ওপর চড়াও হন তিনি।
মোসাদ্দেকের সেই ওভারে ১ ছয়, ২ চার নেন শামীম। শেষ ওভারে জিততে ৫ রান দরকার ছিল। যা মুকিদুল ইসলামের প্রথম তিন বলেই তুলে নেন চিটাগাংয়ের দুই ব্যাটার।
এর আগে সাব্বির রহমানের দারুণ এক ইনিংস দেখে ঢাকার দর্শক। ৩৩ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত ছিলেন এই ব্যাটার। এছাড়াও ৫৪ (৪৮) রানের ইনিংস খেলেন তানজিদ হাসান তামিম।
এম এইচ//