জাতীয়

শেখ হাসিনার ‘ভারতের নাগরিকত্ব’ গ্রহণ নিয়ে যা বললো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

কূটনৈতিক প্রতিবেদন

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন কিনা সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার(১৬ জানুয়ারি)পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ কথা বলেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি সে দেশেই আছেন বলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একাধিকবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছে। তবে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে- শেখ হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন।  

এরই পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটির নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন কিনা- সে তথ্য আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেই।এ ছাড়া তিনি কোন স্ট্যাটাসে আছেন- সেটা ভারত সরকারের বিবেচনাধীন বিষয়।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার নাগরিকত্ব সম্পর্কিত বিষয়টি ভারত সরকারের বিবেচনার বিষয়, এবং ভারত সরকারের কোনো স্ট্যাটাস সম্পর্কে তাদের কাছে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য নেই। এই বিবৃতি দেওয়ার সময় মুখপাত্র এটাও বলেন যে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে কোনো চুক্তি যদি পর্যালোচনা করতে হয়, তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা সংস্থার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করা হতে পারে।

ভারত-বাংলাদেশের ‘গোপন চুক্তি’ ইস্যুতে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে  মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যেসব দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে, তা সবই প্রকাশিত হয়েছে এবং এসব চুক্তি ভারত সরকারের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।  তবে, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে কোনো গোপন চুক্তি রয়েছে কিনা সে বিষয়ে জানা নেই।

এর আগে, গেলো  ৮ জানুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, আপনাদের মতো আমিও এটা (‌শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো) পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি। আমাদের কী করার আছে?

ওই ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন,  শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে ভারতের কাছে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তার জবাব এখনো পাইনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, শেখ হাসিনাকে ফেরত পেতে ভারতের চিঠির জন্য অপেক্ষা করবে বাংলাদেশ। ভারতের কাছ চিঠির জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এমআর//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন শেখ হাসিনা