মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে নাফ নদের মোহনায় পণ্যবাহী দুটি কার্গো বোট আটকে রেখেছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। ওই বহরে থাকা অপর একটি কার্গো সেন্টমার্টিনে আশ্রয় নিয়েছে। কার্গো গুলোতে শুটকি, আচার ও সুপারি ইত্যাদি পণ্য আনা হচ্ছিলো।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার নাফ নদের জলসীমা নাইক্ষ্যংদিয়ায় তল্লাশির কথা নৌযান দুটি আটকে দেয় আরাকান আর্মি। টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, রাত ১০টা পর্যন্ত কার্গো দুটি ছাড়েনি আরাকান আর্মি। শুক্রবার সকালে কার্গো দুটি ছেড়ে দিতে পারে বলে তিনি আশাবাদী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থলবন্দরের এক আমদানিকারক জানান, প্রায় দেড় মাস পর ইয়াঙ্গুন থেকে তারা কয়েকজন পণ্য আমদানি করছেন। সেগুলো আসার পথে আটকে দিয়েছে আরাকান আর্মি। এখনও পণ্যবাহী কার্গো দুটি তাদের হেফাজতে। সেখানে আচার, শুঁটকি ও সুপারিসহ বিভিন্ন পণ্যের ৩০ হাজার বস্তা আছে।
তিনি বলেন, গত কয়েক মাস ধরে বন্দরের ব্যবসায় ধস নেমেছে। এতে সরকারও রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। সরকারের উচিত সীমান্ত বাণিজ্য সচল করতে মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলে এটি সমাধানের পথ বের করা। না হলে ব্যবসায়ীরা টেকনাফ বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন।
বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে পণ্যবাহী বা কার্গো ট্রলার ও জাহাজ চলাচল করতে পারছে না। এতে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রফতানি একপ্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। মিয়ানমারের মংডুর সঙ্গে আমদানি ও রপ্তানি—দুটিই বন্ধ। তবে মাঝেমধ্যে আকিয়াব ও ইয়াঙ্গুন থেকে থেমে থেমে পণ্য আমদানি অল্প পরিসরে হচ্ছে।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, মিয়ানমারের জলসীমায় পণ্যবাহী কার্গো বোটে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে এ বিষয়ে কেউ এখনও বিজিবিকে কেউ কিছুই জানায়নি। তা ছাড়া এটি বাংলাদেশের জলসীমানার বাইরে।
আই/এ